স্টাফ রিপোর্টার :
স্কুল কলেজ খোলার প্রথম দিনে শ্রেণিকক্ষ অপরিষ্কার থাকায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ও আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হাছিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। রোববার সকালে শিক্ষামন্ত্রী প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে গিয়ে অপরিচ্ছন্ন শ্রেণিকক্ষ দেখতে পান। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষকে বরখাস্তের কথা জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, শ্রেণি কক্ষে ময়লা পাওয়ায় আজিমপুর স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ওই প্রতিষ্ঠানের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তাকেও সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। শিক্ষা অধিদপ্তরের সেই কর্মকর্তা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষক এবং অধিদপ্তরের উপপরিচালক পদে থাকা সেলিনা হোসেন।
অধ্যক্ষ হাছিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় যখন পরিদর্শনে আসেন, তখন তিনি আমদের কলেজের একটি স্টোর রুমে গিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমি তখন বলতে পারিনি যে এটা স্টোর রুম। ‘আমার চাকরির আর মাত্র পনের দিনের মত আছে। এখন আমার কী করেন, তারাই বলতে পারবেন। ডিজি মহোদয় বলেছেন, প্রথমে শোকজ করবেন।’
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দেড় বছর বন্ধ থাকার পর স্কুল কলেজ খোলার প্রথম দিনে আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী। এসময় তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আবার বন্ধ হতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংক্রমণ যদি বেড়ে যায় তখন পরিস্থিতি বুঝে আমাদের এ পদক্ষেপ নিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সিলেবাস ও অন্যান্য বিষয়ে পরিস্থিতি বুঝে পরিকল্পনা করা হবে।
ডা. দীপু মনি সবাইকে মানবিক আচরণ করারও আহ্বান জানিয়ে বলেন: শিক্ষকরা যেন অভিভাবকদের বেতনের জন্য অতিরিক্ত চাপ না দেন। কারণ এই সময়ে সব টাকা একসাথে যোগাড় করা হয়তো অনেকের কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। তবে অভিভাবকদেরও বলবো তারা যেন বেতন সময়মতো পরিশোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কারণ ওই বেতনের টাকাতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলে।