বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগস্ট মাস একটি ষড়যন্ত্রের মাস হিসেবে চিহ্নিত উল্লেখ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে ঘাতকেরা এ দেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তাই ঘাতকেরাও থেমে থাকেননি। তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। তাতেও তারা সফল হননি। আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন কর্মীও বেঁচে থাকলে ওই ঘাতকদের চেষ্টা সফল হবে না।
আজ শনিবার (২১ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলা পরিষদে বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম মাজহারুল হক অডিটরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি এসব কথা বলেন।
ডা. মুরাদ হাসান এমপি বলেন, যারা কখনো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ চায়নি, নির্যাতিত- নিপীড়িত- নিষ্পেষিত মানুষের মুক্তি চায়নি, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালির স্বাধীনতা চায়নি, তারাই এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।এই আগস্ট মাসকেই তারা সবসময় ষড়যন্ত্রের জন্য বেছে নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীবাদের দোসররা সারা দেশে ৫শ স্থানে একযোগে বোমাহামলা করে তাদের জঙ্গিবাদী শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিল। তাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগস্ট মাসকে সবাই কলঙ্কিত ও শোকের মাস হিসেবে গণ্য করে থাকে।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের ঐ গ্রেনেড হামলা ছিল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বকারী দল আওয়ামী লীগের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত।
জিয়াউর রহমানের হত্যার প্রধান কুশীলব বেগম জিয়া আর তার পুত্র তারেক জিয়া ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মূল মদদদাতা। তারেক জিয়াকে দেশে ফেরত এনে তার ফাসির রায় কার্যকর করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা, সে বিশ্বাস আমাদের আছে।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর খুনীদেরও বিচার হয়েছে।বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমানের মুখোশ আগামী প্রজন্মের সামনে উন্মোচন করতে হবে।আমার সন্তানেরা, যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবে, তাদের জানতে হবে জাতির পিতা হত্যার প্রধান কুশীলব, মূল খুনীর নাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুনী জিয়ার মুখোশ উন্মোচন করে, তার মরণোত্তর বিচার কার্যকর করবোই ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি- জামায়াতচক্র এখনো বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিশ্বাস ঘাতকেরা এখনো লুকিয়ে আছে। এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে ও চক্রান্তকারীদের বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকারও আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। ২০০৪ সালের এই গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে আড়াই মাস হসপিটালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছে তিনি।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আহম্মেদুল কবীর উজ্জ্বল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ এবং যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।