চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাধুবাদ জানিয়ে প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছেন খোরশেদ আলম সুজন।
এসময় আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি প্রশাসকের দায়িত্বে না থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আমার দুয়ার সবসময় খোলা থাকবে।
গত শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে আন্দরকিল্লায় সিটি করপোরেশনের পুরোনো নগর ভবনের কে বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সুজন বলেন, আমি কর্মে ছিলাম, আছি এবং থাকব। এই শহরে আমার জন্ম, এই শহরে বেড়ে ওঠা। ছাত্রজীবনে রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়ে রাজপথকে আমার ঠিকানা বানিয়েছি। এখান থেকে চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে আমার স্বপ্ন দেখা।
তিনি বলেন, ১৮০ দিনের অভিজ্ঞতায় ভালোকে গ্রহণ করেছি, মন্দকে পরিহার করেছি। আমি অনুধাবন করেছি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অনেক মেধাবী কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। তাদেরকে ঠিকমতো নির্দেশনা দিলে অনেক সফলতার দুয়ার তারাই খুলে দিতে পারেন এবং ইতোমধ্যে দিয়েছেনও।
তিনি বলেন, চসিকের শিক্ষাখাত নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ভর্তুকি কমাতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা খাত রেখে বাড়তি বোঝা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন চাকরি করে অবসর নেওয়ার পর আনুতোষিক না পাওয়া দুঃখজনক। আমি দায়িত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে কিছু পাওনা পরিশোধ করেছি। আশা করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
এসময় তিনি জ্যোৎস্না উৎসবের মতো একটি ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠান নগরবাসীর সামনে উপস্থাপন করে দেশে-বিদেশে অনেক সাড়া পেয়েছেন বলে জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, খুব কম সময়ে বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এমন কিছু কাজ করেছেন, যাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্ম ও প্রাণের সঞ্জীবনী শক্তি পেয়েছে। এই শক্তিকে আমরা ধারণ করতে চাই। আমাদের উচিত ভালো কাজকে গ্রহণ করা এবং মন্দকে প্রত্যাখান করা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মীর্জা ফজলুল কাদের, কুলগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক খান, কাট্টলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, সার্কেল-৫ এর টিও এ কে এম সালাউদ্দীন, ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী।