মাধবপাশা (বরিশাল) প্রতিনিধি :
মাধবপাশা ইউনিয়নের ভূমিহীনের কার্ডের জমি বরাদ্ধ পেয়েছে ধনাট্য ব্যক্তি ছাইদুল ইসলাম। সূত্রে জানাযায়, বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের মুশুরিয়া গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর পুত্র ছাইদুল ইসলাম। তিনি জণকল্যাণ সমবায় সমিতির (দারোগার হাট) একাংশের মালিক। একসময় পল্ট্রি ও ডেইরি ফার্মের ব্যবসা ছিল তার। আলীসান ভবনের মালিক হয়ে বিলাশ বহুল জীবন যাপন করছে ছাইদুল। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন’র একান্ত সহচর হওয়ায় ধনকূপের হওয়া সত্যেও ভূমিহীনের কার্ডের জমি বরাদ্ধ পায় ছাইদুল। সূত্রে আরো জানাযায়, ছাইদুলের কার্ডে বরাদ্ধ পাওয়া জমির মালিক গুঠিয়া ইউনিয়নের মো: মজিবুর রহমান খসরু। তিনি চাঙ্গুরিয়া গ্রামের মৃত বজলুর রহমান সরদারের পুত্র। ১৯৯৫ সনে দেহেরগতি সাকিনের এস এ রেকর্ডীয় মালিক ধীরেন্দ্রনাথ মন্ডল ও তার স্ত্রী অঞ্জলী প্রভা মিত্র’র নিকট হতে উক্ত জমি ক্রয় করে মজিবুর রহমান সরদার। ক্রয়ের পর মালিকানা বুঝে নিয়ে মজিবুর সরদার বিভিন্ন প্রজাতীর ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করে। কয়েকদিন পূর্বে বসত ঘর সংস্কার করা কালীন সময় মুশুরিয়া গ্রামের ছাইদুল ইসলাম ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করে। পরবর্তীতে বিএমপি এয়াপোর্ট থানার এএসআই মো: ইদ্রিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘর উত্তলন বন্ধ রেখে উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলে। উভয়পক্ষ থানায় আসলে তাদেরকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্ব স্ব অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। থানা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ছাইদুল বৃহস্পতিবার শেষ রাতে শতাধীক লোক নিয়ে মুজিবুর সরদারের নির্মানাধীন ঘর ভেঙ্গেচুরে লুট করে নিয়ে যায়। মুজিবুরের ভাই সরদার মাইনুল স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ৯৯৯ ফোন দিলে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এয়ারপোর্ট থানার এসআই রায়হান ও এএসআই ইদ্রিস। তারা উভয়পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে উভয় পক্ষের কাগজ পত্র স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে জমা দেয়ার জন্য বলে। এব্যাপারে মজিবুর রহমান খসরু বলেন, ‘আমি নিমতান্ত্রিক ভাবে জমি ভোগ দখল করিতেছি। কিছু জমি নিয়ে বরিশাল বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সমুদয় জমি আমি ভোগ দখল করি এই মর্মে মাধবপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। ছাইদুল ইসলাম কার্ডে আমার নামীয় জমি বরাদ্ধ পেয়েছে তা আদৌ জানতাম না।’ এব্যাপারে ইউপি সদস্য মো: সুমন বলেন,‘ আমি উক্ত সৃষ্ট ঘটনা সম্পর্কে জানি। জমি মজিবুর সরদারের ভোগ দখলে।’ এব্যাপারে এএসআই ইদ্রিস বলেন,‘ আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, উভয়পক্ষকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।’ এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন,‘ সরজমিনন্দন্ত পূর্বক ছাইদুলকে সরকার ভুমি বরাদ্ধ দিয়েছে।’