পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর কর্তৃক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন-২০০৯ এর আওতায় বিগত ২০২৩ – ২০২০ সনের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে এক হাজার দুই শত ৯১টি প্রতিষ্ঠানে ৬০ লক্ষ ১১ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দিতে সক্ষম হয়েছে।
২১ অক্টোবর বুধবার সকাল ১১ টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক দরবার হলে জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম সরফরাজ এর সভাপতিত্বে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন -২০০৯ অধিকতর প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনায় এ তথ্য জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন-২০০৯ পাশ হওয়ার পর এ আইনের ১৮(১) ধারা মোতাবেক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পটুয়াখালী জেলায় ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ৩০১৩ সালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলায় এ পর্যন্ত ৮৫টি সেমিনার করা হয়েছে এবং ৫৯৬ টি অভিযান পরিচালনা করে ১,২৯১টি প্রতিষ্ঠানে ৬০ লক্ষ ১১ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন সম্প্রতি কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী হঠাৎ করে পেঁয়াজ,আলু,আদা,রসুন ও চালের দাম যোক্তিক কারন ছাড়াই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করে বাজারের পরিবেশ অশান্ত করেছে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে সকলকে নিজ নিজ উদ্যোগে কাজ করতে এগিয়ে আসার আহবান জানান সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সিপিবি সভাপতি মোতালেব মোল্লা, জাসদের সাধারন সম্পাদক শ.ম. দেলোয়ার হোসেন দিলিপ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বেবী, জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাকির মাহমুদ সেলিম, ওমর আজম, মাহফুজা ইসলাম, মল্লিক মোঃ সিদ্দিকুল আলম, চেম্বারের পরিচালক কামরুজ্জামান টিপু, পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর শামিন সুলতানা, গাজী শহিদুল ইসলাম শাহিন, মেহেদী হাসান নান্নু, আব্দুর রহমান, অনিল কুমার দাস, সেলিম বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।