ছারছীনা থেকে মোঃ আবদুর রহমান: আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব কেবলা বলেন- আল্লাহ তা’য়ালার হুকুম মোতাবেক আমাদের আমল করতে হবে। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমরা বাইয়াত হয়েছি। আর আমরা বাইয়াত গ্রহণ করে তরিকার ছবক মশক করি এর কারণ হলো আত্মশুদ্ধি করা। আর আত্মশুদ্ধির জন্য জ্ঞানার্জন প্রয়োজন হয়। ইলেম তথা জ্ঞানার্জন করা ফরজ। হযরত রাসূল (সঃ) এরশাদ করেছেন- ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ।
সুতরাং ইলেম শিখতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। ইলেম শিক্ষা করা তদানুযায়ী আমল করার জন্য নাকি ইলেম নিয়ে ঘরে বসে থাকার জন্য ? বর্তমান যুগে ইলেম শিক্ষার নামে ফেতনা চলছে। অনেকে শরীয়াতের হুকুম লংঘন করে ইলেম শিক্ষা দিচ্ছে। সমাজের মানুষকে বুঝানো হচ্ছে, আমরা মানুষকে আল্লাহর দীন শিখাচ্ছি অথচ সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ তা’য়ালার হুকুমের লংঘন করা হচ্ছে। এসব আলেমের দ্বারা কি বাস্তবে দীন শিখানো হচ্ছে? নাকি দীন শিখানোর নামেও ফেতনার বীজ বপন করা হচ্ছে।
যার কারণে আমাদের উপর বালা মুছিবত ধেয়ে আসছে। মহান আল্লাহ বলেছেন- জলে ও স্থলে যে বিপদাপদ পরিলক্ষিত হয়, তা মানুষের হাতের কামাই তথা অর্জন। সুতরাং আমরা দুনিয়ায় যেমন কামাই করেছি তেমনি ফল ভোগ করছি। সুতরাং আমাদের সকলকে তওবা এস্তেগফার করতে হবে।
গতকাল ছারছীনা দরবার শরীফের মরহুম পীর ছাহেবদ্বয়ের ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের ২য় দিন বাদ মাগরীব হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন।
তিনদিনব্যাপী মাহফিলে গতকাল আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার ছোট ছাহেবজাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, মাওঃ মোঃ মামুনুল হক, মাওঃ মোঃ হায়দার হোসাইন প্রমূখ।
আজ বাদ এশা মিলাদ-ক্বিয়াম এর পরে হযরত পীর ছাহেব কেবলা আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করবেন।