এইচ. এম. মিরাজ মাহমুদ :
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.) বলেছেন- এই পৃথিবীতে যুগ যুগ ধরে মহান আল্লাহর প্রদত্ত জীবন বিধান, ইসলামের প্রচার-প্রসার করেছেন নবী-রাসূল, সাহাবায়ে কিরাম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, আওলিয়ায়ে কিরাম এবং হক্কানী পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কিরামের মাধ্যমে। আমাদের এই উপমহাদেশে ইসলামের প্রচার-প্রসারে হক্কানী পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কিরামের বিশেষ অবদান রয়েছে। মূলত হক্কানী আলেমরাই হচ্ছেন এদেশের ইসলামের প্রকৃত ধারক-বাহক। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, বর্তমান বাংলাদেশে অনেক আগ থেকেই ইলমে দ্বীনের প্রচার ও প্রসার ছিল। আরব, ইরাক ও ইরান থেকে আগত পীর, আউলিয়া ও ইসলামী চিন্তাবিদগণের মাধ্যমে এ দেশে ইলমে দ্বীনের অনুপ্রবেশ ঘটে এবং তাদের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে কুরআন-সুন্নাহর চর্চা ব্যাপকতা লাভ করে। এ দেশে ইসলাম প্রচার করতে এসে তারা অনেক বড় বড় মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যার ফলে এসকল প্রতিষ্ঠান থেকে অসংখ্য লোক ইলমে দ্বীনের শিক্ষা লাভ করে দ্বীন ইসলামের প্রচার ও প্রসারের উদ্যেশ্যে কাজ করছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষায় আমল নেই বললেই চলে। তাই আমলের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সারা বাংলাদেশে দ্বীনিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হচ্ছে এবং এর ধারাবাহিকতা চলছে।
গতকাল কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলাধীন পূর্ব চানপুর হারুন স্কুল সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে বাহরে শরীয়ত, মুজাদ্দিদে যামান আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (রহ.) এর স্মরণে ঈছালে ছাওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আখেরী মুনাজাতের পূর্ব আলোচনায় হযরত পীর ছাহেব কেবলা আগত মেহমানদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।
মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন- ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দ্বীনিয়ার নায়েবে মুদীর মাওলানা মোঃ মামুনুল হক, ছারছীনা আলিয়া মাদ্রসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দীন ছালেহী, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দ্বীনিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মোঃ মুহিব্বুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমূখ।
পরিশেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে ও বিশেষ করে এলাকার মুর্দেগাণদের জন্য আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন।