স্টাফ রিপোর্টার :
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.) বলেছেন- উপমহাদেশে ইসলামের সুমহান আলো যারা প্রচার ও প্রসার করেছেন তাদের মধ্যে ফুরফুরা ও ছারছীনা সিলসিলা প্রখ্যাত। এই সিলসিলার ধারক-বাহকগণ মানুষদেরকে ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুন, কৃষ্টি-কালচার, আমল-আখলাক, হালাল-হারাম সহ ধর্মীয় অন্যান্য সামাজিক, আর্থিক ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক শিক্ষা দিয়ে ইসলামের আলোয় আলোকিত করছেন। আজও উপমহাদেশজুড়ে তাদের খেদমতের ধারাবাহিকতা চলমান রয়েছে। এদেশে ছারছীনা সিলসিলা পূর্ব থেকে যেভাবে কুরআন-সুন্নাহ, ইজমা-কিয়াস, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাসমূহ আমল করা ও প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করতো আজও তাহার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলছে। সামান্য চুল পরিমাণ এর থেকে বিচ্যুতি হয়নি, ভবিষ্যতেও হবেনা ইনশাআল্লাহ।
হযরত পীর ছাহেব কেবলা আগত মেহমানদের উদ্দেশ্যে করে আরও বলেন- আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের পথ ও মতের ওপর অটল আছি এবং থাকবো। মনে রাখবেন এদেশে ইসলামের খেদমতে ছারছীনা দরবার শরীফের অসংখ্য অগণিত অবদান রয়েছে। এ দরবারের পূর্ববর্তী অভিভাবকগণ কখনো আদর্শ ও আক্বীদাকে বিসর্জন দিয়ে আপোষ করেনি এবং বাতিলদের সাথে মাথানত করেনি। আমরাও তাদের আদর্শ ও আক্বীদার পাহারাদার হিসেবে বাতিলদের সাথে কখনো আপোষ করবোনা। ইসলামের প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবী আদায়ের জন্য রাজপথে শান্তিপূর্ণভাবে ছিলাম, আছি ও থাকবো ইনশাআল্লাহ।
গতকাল ছারছীনা দরবার শরীফের মরহুম পীর ছাহেব কেবলাদের ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের শেষ দিন আখেরী মুনাজাতের পূর্ব আলোচনায় হযরত পীর ছাহেব কেবলা আগত মেহমানদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।
মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি হাফেজ শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মির্জা মোঃ নূরুর রহমান বেগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন, ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার মুফাসসির মাওলানা আ. জ. ম. অহিদুল আলম, প্রমূখ।
পরিশেষে বাদ এশা কুরআন তেলাওয়াত, হামদ-না’ত, মর্ছিয়া, ক্বাসিদা, তাওয়াল্লুদ, মীলাদ-ক্বিয়াম শেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা রাত ২.৩০ মিনিটের সময় মুনাজাত পরিচালনা করেন। প্রায় ৪০ মিনিট এ মুনাজাত চলতে থাকে। এসময় আগত মেহমানদের আমীন আমীন ক্রন্দনের ধ্বনীতে সমস্ত আকাশ-বাতাস মুখরীত হয়েছে। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। মুনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সাইর্বক কল্যাণ ও শান্তি কামনা করা হয় ও বিশেষভাবে মুর্দেগাণদের জন্য দোয়া করা হয়।