কাউখালী থেকেেএইচ এম মিরাজ মাহমুদ :
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.) বলেছেন- মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানবজাতিকে তাঁর ইবাদাত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর এই ইবাদাত করতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য। ইবাদত পালনকারী তথা নেক আমলকারী ব্যক্তি আল্লাহপাকের প্রিয় বান্দাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। আল্লাহপাক নেক আমলকারী ব্যক্তির উপর রাজিখুশি হয়ে যান।
পরকালে মানুষের নেক আমল ও আল্লাহর রহমতই হবে একমাত্র অবলম্বন। নেক আমল মানুষের জান্নাতে প্রবেশ করার অন্যতম শর্ত। আবার নেক আমল না করে, গুনাহ না ছেড়ে, তওবা না করে, পরকালীন মুক্তি ও রহমতের আশায় বসে থাকে। যা নিতান্তই বোকামী। আবার অনেক নেক আমল করে তা নিয়ে অহঙ্কার করে এটা আরও বড় বোকামি। কারণ সর্বপ্রথম অহঙ্কার করেছিল ইবলিস। নেক আমলের অহঙ্কারে সে নিজেকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে মনে করেছিল। ফলে আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করে সে চিরদিনের জন্য আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
গতকাল পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলাধীন বয়েজ স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে ছারছীনা শরীফের মরহুম পীর শাহ্সূফী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (রহঃ) ও এলাকার মুর্দেগানদের রুহের মাগফিরাত কামনায় ঈছালে ছাওয়াব ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও ওয়াজ নসীহত করেন- ছারছীনা আলিয়া মাদ্রসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দীন ছালেহী, ছারছীনা দারুস্সুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দ্বিনীয়ার মাওলানা মোঃ মোহেব্বুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমূখ।