ফেনী থেকে শেখ কায়েস :
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দিন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.) বলেছেন- শিক্ষকদের বলা হয়ে থাকে মানুষ ও জাতি গড়ার কারিগর। শিক্ষকদের কেবল বইয়ের পাতায় মা বাবার পরের স্থানটি দেওয়া হয়েছে বাস্তবে ভিন্ন কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। শিক্ষকরা অভিভাবকের চড় থাপ্পড় খেয়েছেন, শিক্ষার্থীর হাতে মার খেয়েছেন, কমিটির সদস্যদের দ্বারা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও অপমানিত হয়েছেন। ইতোপূর্বে এরকম বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে শিক্ষকরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মানুষ কেহই ভুলের উর্দ্ধে নয়, একজন মানুষ হিসেবে কিছু ভুল শিক্ষকরাও করতে পারেন কিন্তু তাকে সুযোগও দেওয়া যেতো। কিন্তু সব মিলিয়ে তিনি একজন শিক্ষক। আমার শিক্ষক যত বড়ই অপরাধী হন না কেন আমি কিন্তু নিজে তাকে কোনোদিনই অপমান করতে পারবো না। যদি তিনি কোনো জঘন্যতম অপরাধীও হন আমি তাকে ঘৃণা করতে পারবো তবে নিজ হাতে বা নিজে উপস্থিত থেকে তাকে টানা হেচড়া করতে পারবো না। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি লাভ করেছে এমন কোনো নজির নেই।
পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেন- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) ইমাম মালিক (রহঃ)-এর অন্যতম শিষ্য ছিলেন। তিনি বলেন, আমি যখন ইমাম মালেক (রহঃ)-এর সামনে কিতাবের পৃষ্ঠা উল্টাতাম, তখন অনেক ভদ্রতা ও বিনয়ের সাথে উল্টাতাম, খেয়াল রাখতাম যেন তিনি শব্দ পেয়ে কোনভাবে বিরক্ত না হন। তেমনিভাবে আমাদের মাযহাবের ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) তিনি তার শিক্ষক হাম্মাদ (রহঃ)-এর বাসার দিকে পা বিছিয়ে বসতেও চাইতেন না। সুতরাং শিক্ষক যদি ভিন্ন ধর্মালম্বি হলেও তার সাথে ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ ও সম্মান করতে হবে।
আজ বাদ মাগরীব ফেনী জেলাধীন ঐতিহাসিক রামপুর নূরিয়া হাফেজিয়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে আলোচনা করতে গিয়ে একথা বলেন।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ হেমায়েত বিন তৈয়্যেব, মাওলানা মোহেব্বুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রমূখ।
পরিশেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে হযরত পীর ছাহেব কেবলা মাহফিলের আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন।