ঝালকাঠী থেকে মোঃ রাফি হোসেন :
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের হযরত পীর ছাহেব কেবলা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) বলেছেন- আমরা মুসলমান জাতি। একসময় এই মুসলিম জাতিই সমগ্র বিশ্বকে শাসন করেছিল। অথচ এই বীরের জাতি আজ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। আজ মুসলমানদের ঈমান রক্ষা করা হাতের মধ্যে জ্বলন্ত আগুন রাখর মত কঠিন। কিন্তু কেন কঠিন? তার মধ্যে একটি বড় কারণ হচ্ছে আমাদের মধ্যে দুনিয়ার প্রতি মোহ দিন দিন বেড়েই চলছে। শেষ জামানার মানুষ নামমাত্র মুসলমান থাকবে, তারা কোরআন, সুন্নাহ ও ইসলামের কোন বিধি-নিষেধ মান্য করবে না। মসজিদেও আর কোন ভাল উপদেশ দেয়া হবে না। বাতিল আক্বীদার খপ্পড়ে পড়ে মুসলমানগণ দিন দিন পথভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ বর্তমানে একদল লোক দ্বীন-ইসলামকে খুব সহজেই বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা দিন দিন মানুষকে আমল থেকে দূরে ও নিষ্ক্রিয় রাখতে নিত্য নতুন নতুন ফন্দি আঁকছে। তাদের থেকে সাবধান হতে হবে।
তিনি আরও বলেন- মসজিদ আল্লাহর ইবাদতের স্থান হলেও শেষ জামানায় মসজিদে মু’মিনদের আনাগোনা থাকবে না, সেখানে উপদেশ দেয়া হবে না। মসজিদকে অনেক সুন্দর করে তৈরি করা হবে কিন্তু তাতে কেউ নামাজ আদায় করবে না। সুতরাং আমাদের এথেকে পরিত্রাণ লাভ করতে হবে।
হযরত পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেন- আজ আমাদের সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারা কোন পথে চলে, তাদের বন্ধু কারা। বিভিন্ন স্থানে শোনা যায় সন্তান বিপথগামী হয়ে গেছে ইত্যাদি । এর একমাত্র কারণ সন্তানকে দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষার অভাব। তাই সন্তানদেরকে সঠিকপথে পরিচালিত করতে হলে দ্বিনীয়া মাদ্রাসার বিকল্প নাই।
গতকাল শুক্রবার ঝালকাঠী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈছালে ছওয়াব মাহফিলে হযরত পীর ছাহেব কেবলা প্রধান অতিথির আলোচনায় একথা বলেন।
ঝালকাঠী জেলা জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবল্লাহর সিনিয়ির নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নায়েবে আমীর ও বরিশাল জামে এবাদুল্লাহ মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মির্জা নূরুর রহমান বেগ, হযরত পীর ছাহেব কেবলার ছোট ছাহেবজাদা আলহজ্ব হাফেজ মাওলানা মুফতী শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাও: রুহুল আমিন আফসারী, মাও: মোহেব্বুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রমূখ।