সিলেট প্রতিনিধি :
সিলেটে আঞ্চলিক পর্যায়ে খাদ্য গ্রহণ নির্দেশিকা এবং পুষ্টিবার্তা প্রচার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ‘মিটিং দ্য আন্ডার নিউট্টিশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পে’র উদ্যোগে আলোচনা সভা ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাঈল হোসেন বলেন, বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অপরিহার্য। তবে তা গ্রহণ সুষম হয় কিনা তা বিবেচনায় রাখতে হবে। যদিও খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তবে খাদ্য উৎপাদনের এই ঊর্ধমুখী ধারা থেমে থাকার কোনো বিষয় নয়, এটি চলমান। আমরা তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। শুধু পরিমাণগত উৎপাদনই নয়, এর পুষ্টিগত গুণাগুণকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ফল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এগুলোর উৎপাদন বহুগুণে বেড়েছে। এখন প্রয়োজন সুষম উপায়ে এগুলো গ্রহণ করা।এক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কেবল সঠিক নিয়মে সুষম খাবার গ্রহণ করলে অনেক রোগবালাই থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব।
সচিব আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো তিনটি। প্রথমটি হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা, দ্বিতীয়টি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সর্বশেষ হচ্ছে খাদ্য নিয়ে চর্চা করা এবং জ্ঞান আহরণ করা। এজন্য দেশে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে বলে তিনি জানান। এসময় তিনি সুষম খাদ্যের পাশাপাশি খাদ্য অপচয়রোধ ও কৃষিজ, মৎস্য খামারের দিকে নজর দেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা (পূর্ব সতর্কীকরণ ও কৃষি টেকসই শাখা) মো. মেহেদী হাসান সোহাগ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট মহাপরিচালক (অতিরিক্তি সচিব) মো.শহীদুজ্জামান ফারুকী, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ন্যাশনাল গভর্নেন্স পলিসি এডভাইজার, এফএও মিজানুর রহমান। এতে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।