আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে মেট্রোরেল চালু হয়েছে, পদ্মাসেতু চালু হচ্ছে, কর্ণফুলী টানেল চালু হবে। বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিচ্ছে। এরপরও অন্ধ বিএনপি কোনো কিছু দেখতে পায় না। দেশে গত ১৪ বছরে কি উন্নয়ন হয়েছে তারা নাকি দেখতে পায় না।
বুধবার মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, বিএনপি নাকি উন্নয়নের হিসাব না পায়, আপনারা বলেন, আপনাদের জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখনকার একটি উন্নয়ন দেখান, যা আপনারা করেছেন তার একটি দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন না। আমরা একটি আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় এখানে সমবেত হয়েছি। মেট্রোরেলের উদ্বোধন করার যে পদ্ধতি ছিল। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- শুধু অল্প কয়েকজন ভিআইপি মেহমান নিয়ে আমি মেট্রোরেল চালু করবো না। আমি যাব এবং আমি জনগণের সামনে কথা বলবো। তাই তিনি আসছেন আগামী ২৮ ডিসেম্বর। এই জনসভা সফল করার জন্য আপনারা এক লাখ মানুষের সমাবেশের কথা বলেছেন। আমি বলেছি এখানে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। আমি বিশ্বাস করি। আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে সে সমাবেশ হবে। আপনাদের সবাইকেই ভোরে উঠেই এখানে এসে জমায়েত হতে হবে।
বিএনপির ২৭ দফার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই নেতা বলেন, বিএনপি নাকি রাষ্ট্র মেরামত করতে চায়, রাষ্ট্রকে তো ধ্বংস করে দিয়েছিলেন আপনারা। এখন বলেন রাষ্ট্রকে মেরামত করতে হবে। আর লন্ডনে বসে দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক বলে, বাংলাদেশকে টেক ব্যাক করতে হবে। কোন টেক ব্যাক করবেন? আবার জঙ্গি, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানাবে? আমরা বেঁচে থাকতে তা হবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা বলেন সরকার দুইবারের বেশি তিনবার থাকতে পারবে না, এটা আপনাদের দলের ভেতর করে দেখান, আপনারা পারবেন না। আপনারা আপনাদের গঠনতন্ত্র নিজেরাই মানেন না, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরে আপনারা সভাপতি বানিয়েছেন। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক লাফালাফি করেছেন। তাদের সমাবেশে গরুর হাটে ১০ হাজার মানুষ হয়েছে।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কেউ ষড়যন্ত্র করলে তার মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সভায় আরো বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হাবিব হাসান প্রমুখ। এসময় সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।