সিলেট প্রতিনিধি :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সিলেটে চা শ্রমিকদের জন্য এম্বুলেন্স উপহার দিয়েছেন ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের এম্বুলেন্স’র চাবি তুলে দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান ।
এ উপলক্ষে দুপুরে সিলেট নগরীর নিকটবর্তী লাক্কাতুড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোর সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই এম্বুলেন্স হস্তান্তর করা হয় ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর সাথে চা শ্রমিকদের মতবিনিময়কালে যেসকল দাবি জানিয়েছিলেন, সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যে দরদ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতা রয়েছে তার নিদর্শনই হচ্ছে এই এম্বুলেন্স উপহার । চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের কখনো ভুলেননি, ভুলবেননা। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ যতদিন, পথ হারাবেনা ততোদিন ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল টি কোম্পানী লিমিটেড-এর পরিচালক (সাবেক সচিব) মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাশনাল টি কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এইচ এস এম জিয়াউর রহমান, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক, চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালী’র সভাপতি রাজু গোয়ালা প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানে প্রশাসন ও চা শ্রমিকদের নেতা ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় চা শ্রমিক নেতা রাজু গোয়ালা প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে সিলেটের সকল চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন ।
উল্লেখ্য, মজুরি বৃদ্ধি সহ নানান দাবিতে চা শ্রমিকরা আন্দোলনে নামলে গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন শেখ হাসিনা। এসময় চা শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিসহ চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য অ্যাম্বুলেন্স দাবি করলে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য এম্বুলেন্স চাওয়া হয়েছে। এম্বুলেন্স তো দেবই, এই মাতৃত্বকালীন যেন কেউ কষ্ট না পান, সে ব্যবস্থা করব। দ্রুত যাতে চিকিৎসা পান সে ব্যবস্থা করব। কমিউনিটি ক্লিনিক আমরা করেছি, সেখানে কিন্তু মাতৃত্বকালীন চিকিৎসাটা ঔষধসহ আমরা বিনা পয়সায় দিয়ে থাকি। এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দ্রুত যাতে চিকিৎসা পেতে পারেন এবং এম্বুলেন্সে রোগী নেয়ার ব্যবস্থাটা যাতে হয়, আমরা সে ব্যবস্থা করব। মাতৃত্বকালীন ছুটি আমরা ৬ মাস করে দিয়েছি। এটা নির্ভর করে অনেক সময় শিল্পমালিকরা সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এখানে যে কষ্টসাধ্য কাজ, পাহাড়ি রাস্তায় ওঠা-নামা করা, এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কাজেই আমি মনে করি, মাতৃত্বকালীন ছুটিটা ছয় মাস হওয়া উচিত। সেটার ব্যবস্থাও আমি করে দিতে চাই।’ গ্র্যাচুইটি কেন দেয়া হচ্ছে না এটা আমরা দেখব বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস প্রদান করেন ।