1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. ittehadnews24@gmail.com : Ittehad News24 : ইত্তেহাদ নিউজ২৪
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ইসলামের সঠিক অনুসরণের মাঝে রয়েছে শান্তি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা -ছারছীনার পীর ছাহেব। নীলফামারীর সৈয়দপুরে ছারছীনা পীর ছাহেবের মাহফিল অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে এক টন পলিথিন জব্দ, ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইইউ তরুণদের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যশোরের চৌগাছায় ছারছীনা পীর ছাহেবের মাহফিল অনুষ্ঠিত ছারছীনা দরবারের গদ্দীনশীন পীর সাহেব এর সাথে ড. মিজানুর রহমান আজহারির সাক্ষাত মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ছারছীনার পীর ছাহেবের মাহফিল অনুষ্ঠিত একজন প্রকৃত মু’মিন বান্দার জন্য আত্মশুদ্ধি অর্জন করা অতীব জরুরী। -ছারছীনার পীর ছাহেব আগামীকাল ঢাকার মহাখালিস্থ মসজিদে গাউসুল আজমে ছারছীনার পীর ছাহেব কেবলার মাহফিল
শিরোনাম
কক্সবাজারে এক টন পলিথিন জব্দ, ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইইউ তরুণদের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ছারছীনা দরবারের গদ্দীনশীন পীর সাহেব এর সাথে ড. মিজানুর রহমান আজহারির সাক্ষাত একজন প্রকৃত মু’মিন বান্দার জন্য আত্মশুদ্ধি অর্জন করা অতীব জরুরী। -ছারছীনার পীর ছাহেব মুখে সুন্নি বললে সুন্নী হওয়া যায়না, আমলের মাধ্যমে সুন্নী হতে হয় -ছারছীনার পীর ছাহেব জুলাই গণহত্যার বিচার না হলে সরকারের বিপ্লবী ভূমিকা ম্লান হবে : রিজভী সংস্কার কমিশনের কাজ শুরু ১ অক্টোবর, প্রতিবেদন ডিসেম্বরে সত্যিকারের জনবান্ধব পুলিশ হোন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না : মির্জা ফখরুল

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জমিদার বাড়ি সংরক্ষণের দাবি

  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি :

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরী নাটু বাবুর জমিদার বাড়ি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর এই বাড়িটি ও জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠিত শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গড়ে তোলা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প।

২৫শে মার্চ যুদ্ধ শুরুর পর বরিশাল অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের অভয়াশ্রম পরিণত হয়েছিল জমিদার বাড়িটি। এখানে বসেই মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা করা হতো।

১৬শ শতকের দিকে এ জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন প্রসন্ন কুমার রায় চৌধুরী। ১৯ শতকের গোড়ার দিক পর্যন্ত জমিদারির ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তাদের পঞ্চম বংশধর কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরী (নাটু বাবু)। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর একজন জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি (নাটু বাবু) নিজ গ্রাম শ্যামপুরে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সংগঠিত করতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধাদের।

জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠিত শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গড়ে তোলেন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। জমিদার হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে সকল প্র্রকার সহায়তা করেছেন জমিদারি কোষাগার থেকে।

মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য অবদান রাখা নাটু বাবু বেশিদিন বাঁচতে পারেননি। স্বাধীনতার মাত্র দুই বছরের মধ্যে ১৯৭৩ সালে তাকে হত্যা করে স্থানীয় রাজাকার হাশেম আলী ও তার সহযোগীরা।

যুদ্ধকালীন ১৫ নভেম্বর স্থানীয় রাজাকারদের সাথে নিয়ে ওই বাড়িটিতে আক্রমণ চালায় পাকবাহিনী। সেইদিন সম্মুখ যুদ্ধে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আর মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ২১ জন পাক সেনা নিহত হয়।

ওই যুদ্ধে ৩৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল নরপিচাশ পাকবাহিনীর সদস্যরা। নাটু বাবুর স্ত্রী ছায়া রায় চৌধুরী জানান, ১৯৭৩ সালে তার স্বামীকে হত্যার পর তিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেছেন।

ওইসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাটু বাবুর হত্যার বিচারে আশ্বাস দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তার সাথে থাকা পাঁচ মাস বয়সের শিশু পুত্র বিপ্লবকে বঙ্গবন্ধু কোলে তুলে নিয়ে নাটু বাবুর চার সন্তানের ভরন পোষণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

জাতির পিতার এমন সহায়তার আশ্বাস পেলেও তা বেশিদিন টিকে থাকেনি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর আবারও অন্ধকার নেমে আসে জমিদার পরিবারে।

ছায়া রায় চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে স্বাধীনতা বিরোধীরা। এরপর থেকে নানাভাবে হয়রানি শুরু করে নাটু বাবুর পরিবারকে। যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান রয়েছে।

সেই পরিবারটি স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে আজও নিগৃত। জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠিত শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ পরিবর্তন নিয়ে দেখা দেয় নানান রকম প্রতিবন্ধকতা।

প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টিতে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিদ্যালয়টির নাম ফলক উন্মোচন হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার নব্বই বছর পরে শহিদ কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরী নাটু বাবু মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে নামকরন করা হয়েছে।

একটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মান করা হয়েছে। তবে স্বাধীনতার পরবর্তী আদৌ সংরক্ষিত হয়নি মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত তাদের এই জমিদার বাড়িটি। বরং কালের সাক্ষী হয়ে থাকা তাদের (জমিদার পরিবারের) বাড়িটি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের সহযোগীরা এমন অভিযোগ রয়েছে।

অযতেœ-অবহেলায় নিশ্চিহ্ন হচ্ছে জমিদারবাড়ি। ৬ দশমিক ৬৯ একর জমির ওপর গড়ে তোলা বাড়িটির মূল দোতলা ভবনটি সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বাড়িতে ঢোকার মূল ফটকেরও একই অবস্থা।

মূল দোতলা ভবনটিতে বাস করছেন কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরীর স্ত্রী ছায়া রায় চৌধুরী। বাড়ির ভেতরে বড় একটি দিঘি, একটি পুকুর ও বাগান আছে।

এই পরিবারের জমির ওপর মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর বাজার, মসজিদ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধসহ নানা স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

সরকারকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটি সংরক্ষণ করার দাবি জানান, কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরী নাটু বাবুর পরিবার সহ বাকেরগঞ্জবাসি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Categories