বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের বাজেমহল গ্রামের মুন্সীর বাড়ির সামনে থেকে পূর্ব দিকে পাকা ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের সরকারী গাছ কেটে সাবার করা হচ্ছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান শামীম মুন্সীর নির্দেশে স্থানীয় জাফর সিকদার শ্রমিক দিয়ে গাজগুলো কেটে নিচ্ছেন। উপজেলা বন বিভাগ গাছগুলো রোপন করেছে বলে সূত্রে জানা গেছে। সোমবার থেকে গাছগুলো কাটা শুরু হয়েছে।
কাটা গাছগুলো গোড়াগুলো মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, মুন্সী বাড়ির সামনে পূর্ব দিকে আরসিসি ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ থেকে ৮টি বড় সাইজের আকাশমনি গাছ কাটা হয়েছে।
গাছগুলোর সাইজ করে টমটম গাড়িযোগে ছালাম গাজির বাড়ির কাছে খাল পাড়ে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। গাছের ডালগুলো রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে। কেটে নেয়া গাছের গোড়াগুলো মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। গাছের ডালকাটার কাজে নিয়োজি শ্রমিক মালেক সিকদার জানান, তিনি জাফর সিকদারের আন্ডারে কাজ করছেন। জাফর সিকদার শামীম মুন্সীর কাছ থেকে গাজগুলো কিনেছেন।
কতটাকায় গাছগুলো কিনেছেন তিনি জানেননা। গত কাল সোমবার (১৪ নভেম্বর) তার ৭ জন শ্রমিক গাছ কেটেছেন। আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ৫ জন শ্রমিক কাজ কাটার কাজ করছেন। বিনিময় তারা প্রতিদিন ৭শ টাকা করে মজুরি পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, শামীম মুন্সী জাফর সিকদারের কাছে আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধ শত গাছ বিক্রি করেছেন। কেটে নেয়া গাছগুলোর বাজার মূল্য এক লাখ টাকার উপরে।
জাফর সিকদার গাছ কেনার বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অর্ধশত গাছ কিনি নাই। শামীম মুন্সীর কাছ থেকে ১৩টি গাছ কিনেছি। এরমধ্যে ৮টি গাছ কেটেছি।
বাকি গাছগুলো ২-৩দিনে মধ্যে কাটা শেষ হবে।’ আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান শামীম মুন্সী বলেন, ‘ওই সড়কে বনায়ন করা হয়েছে তিন বছর আগে। আর গাছগুলো রোপন করা হয়েছে ২০-২৫ বছর আগের।
আমাদের জমির সীমানায় আমার গাছ লাগিয়েছি। তাই গাছগুলো আমরা বিক্রি করে দিয়েছি।’ উপজেলা বন কর্মকর্তা ফিরোজ কবির বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। আমাদের গাছ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’