সিলেট প্রতিনিধি :
মাদরাসার স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা। গতকাল সোমাবার বিকালে সিলেট সিটি পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা আবু সালেহ মো: কুতবুল আলম এর সভাপতিত্বে এবং সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছরওয়ারে জাহানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মাওলানা মো: আতাউর রহমান, সভাপতি, কানাইঘাট উপজেলা, মাওলানা মো: ফরিদ উদ্দিন আতহার, অধ্যক্ষ, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদরাসা, মাওলানা মো: আব্দুশ শাকুর, উপাধ্যক্ষ, ফতেহপুর কামিল মাদরাসা, মাওলান মো: ফয়জুলাহ বাহার, উপাধ্যক্ষ শাহজালাল জামেয়া কামিল মাদরাসা, মাওলানা মো: শিহাব উদ্দিন আলীপুর, অধ্যক্ষ, রাখালগঞ্জ ফাযিল মাদরাসা, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ, মাওলানা মাসুক আহমদ, সহ-সভাপতি জকিগঞ্জ উপজেলা, মাওলানা এম এ সবুর, সভাপতি, গোলাপগঞ্জ উপজেলা, ড. মাওলানা সৈয়দ শহীদ আহমদ বোগদাদী, অধ্যক্ষ, মাদারবাজার আলিম মাদরাসা, মাওলানা মো: আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, সুপার, বোয়ালজুড় দাখিল মাদরাসা, মাওলানা মো: কামাল হোসেন, সহ-সভাপতি বিয়ানী বাজার উপজেলা, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির খান, সদস্য, সিলেট জেলা, মাওলানা সৈয়দ কুতবুল আলম, সুপার, মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদরাসা।
সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দসহ মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীগণ স্বতস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে বক্তব্য প্রদান করেন।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অবদান এদেশের আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখ বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কৃতজ্ঞতার সাথে আজীবন স্মরণে রাখবে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসকে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সনদের মান প্রদান, মাদরাসা শিক্ষকদের জনবল কাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ, মাদরাসার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাদরাসা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জাতীয় দিবস ঘোষনাসহ বহুমুখী পদক্ষেপ ইসলামি শিক্ষার ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে। যুগের চাহিদা পূরণে রূপকল্প ৪১, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন, উন্নয়ন কিংবা যুগোপযোগী করা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। শতকরা ৯১% মুসলমান যে দেশে বসবাস করে সে দেশে কুরআন সুন্নাহ, মুসলিম ঐতিহ্য-কৃষ্টি এবং দীর্ঘদিনের লালিত সংস্কৃতির সাথে সাথে বর্তমান চাহিদাকে সমন্বয় করে দেশ বরেণ্য আলেম ওলামাদের অংশগ্রহণে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে এটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দের সাথে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিশেষজ্ঞদের অনেক বৈঠকে ব্যাপক পর্যালোচনা হয়।