যশোর প্রতিনিধি :
যশোরে মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ নূুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন আলীর নেতৃত্বে শত শত মাদ্রাসার শিক্ষক এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ¬বের প্রেক্ষাপটে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনসিটিবির ৯টি বই পরীক্ষামূলকভাবে পড়নো হয়। ২০২৩ সাল থেকে ওই বইগুলো সমস্ত স্কুল ও মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে এনসিটিবি। ওইসব পাঠ্যপ্স্তুকে সন্নিবেশিত অধিকাংশ ছবি, শব্দ, বাক্য, তথ্য উপাত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মর্মাহত এবং তাদের সস্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে শংকিত করে তুলেছে। বইগুলোতে মুসলিম মনীষী, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের নীতি নৈতিকতা সৃষ্টিকারী কোন বিষয় স্থান পায়নি। উপরন্ত বিজ্ঞান বইয়ে ১১জন উলঙ্গ নারী পুরুষের ছবি দিয়ে তাদের লজ্জাস্থানের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের ঈমান হারা করবে। এছাড়া বইগুলোতে শত শত মেয়ের বেপর্দা ছবি, হিন্দু মহিলাদের শাখা পরার ছবি, কুকুর ও নেকড়ে বাঘের ২৪টি ছবি, ডারউইনের বিবর্তনবাদ, দেব-দেবীর নগ্ন, অর্ধনগ্ন ছবি, ইসপের গল্প, প্রণাম, গান বাজনা, নাচের শিক্ষা, পাশ্চাত্য ও মূর্তিপূজার সংস্কৃতির চর্চার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া গল্পগুলোতে অমুসলিম নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সামগ্রিক বিবেচনায় ৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে পাশ্চাত্য ও মূর্তি পূজার আরাধনার শিক্ষা সংস্কৃতির আদলে তৈরি বইগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত মাদ্রাসা শিক্ষার স্বীকৃতি, লক্ষ্য উদ্দেশ্য, স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নের কোন বিকল্প নেই। তবে এজন্য এনসিটিবি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আলেমদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ কাজ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ একইসাথে মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তসহ আরো ১২ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদ, মনিরামপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওহাব ও বাঘারপাড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা হায়দার আলী।