ঝালকাঠী প্রতিনিধি :
ঝালকাঠিতে পুরনো ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান খান মাইনুল ও ব্লগার মনির হোসেনসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শহরের জেলেপাড়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ইব্রাহিম সরদার লাভু নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান খান মাইনুলের সঙ্গে জেলেপাড়া সড়কের ইব্রাহিম সরদার লাভুর পরিবারের বিরোধ চলছিল।
এ বিরোধ নিয়ে আগেও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারামারি হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের জেলেপাড়া সড়কেরর মৃত কদম আলী সরদারের বাড়ির সামনে তার ছেলে মো. মনির সরদার ও ইব্রাহিম সরদার লাভুর সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান খান মাইনুলের আবারও তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে আতাউর রহমান খান মাইনুল (২৭), আরিফ খান উজ্জ্বল (৩৫), রাকিব হোসেন (২০) এবং অপর পক্ষের ব্লগার মো. মনির সরদার (৪৮), তার ভাই কামাল সরদার (৫০), রফিক সরদার (৪০), ইব্রাহিম সরদার লাভুসহ (৪২) কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ সময় ওই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুলতানা সনিয়া বলেন, ‘আহত কয়েকজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর অবস্থায় একজনকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। ’
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে বলেন, ‘সামান্য বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। লোকজন হাসপাতালে ভিড় করছিল। পুলিশ বহিরাগতদের বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ’