স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে রবিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদঃ বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের খণ্ডচিত্র’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি ও জামায়াতের আন্দোলনের নামে পেট্রোলবোমায় নিহতদের পরিবার ও আহতরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চান। তারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ওই সময়ের বিএনপি ও জামায়াতের তাণ্ডবের ওপর নির্মীত একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিদেশি মিশনের কূটনৈতিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের দুঃসময়ের পর আমরা যখন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছি তখনই সরকার উৎখাতের নামে অগ্নিসন্ত্রাস, খুন শুরু হয়। সেই ২০০১ সাল শুরু, এরপর আবার ২০১৩,১৪,১৫ সালে বার বার, কীভাবে মানুষ পারে জীবন্ত মানুষকে আন্দোলনের নামে পুড়িয়ে মারতে। এটাই নাকি আন্দোলন! এই আন্দোলনতো আমরা কখনো দেখিনি। সেই স্কুল জীবন থেকেই আন্দোলনে শরিক হয়েছি। আমরাও আইউব খানের বিরুদ্ধে, জিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমরা কখনো এটা স্বপ্নেও ভাবিনি পেট্রোলবোমা মেরে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে, আন্দোলন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ঘোষণা দিল অবরোধ এবং হরতাল। কিন্তু কাজ হলো কী? মানুষকে হত্যা করা। এখানে যারা উপস্থিত আছে তারা খুবই সামান্য কয়েকজন। শুধুমাত্র ২০১৩ সালেই বিএনপি ও জামায়াত প্রায় ৩ হাজার ৬শ মানুষকে অহত করেছে।
শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সেই দুঃসময়ের কথা ভুলে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশে কিছুটা স্থিতিশীলতা আনতে পেরেছি। মানব কল্যাণে করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে এই ধরনের আঘাত, এটা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। এসব কাজে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারের কাজ চলছে। অনেকের বিচার হয়ে শাস্তি হচ্ছে। কিন্তু এই কাজের যারা হুকুম দিয়েছে সেই হুকুমদাতাদের কথাও ভেবে দেখেন। জানি না মানুষ কিভাবে তাদের পাশে দাঁড়ায়, তাদের সমর্থন করে।
এমন কাজ যেন আর কেউ ঘটাতে না পারে এজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।