
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বদরপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতা নাসির খানকে বাদদিয়ে নতুন নেতৃত্বের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতা সাবেক বিএনপি নেতা মোঃ নাসির উদ্দিন খানকে অব্যাহতি দিয়ে পুনঃ সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্বের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় শত শত আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের শিয়ালী বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তা মিয়া ও সুলতান আহমেদসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক একেএম বশির উদ্দিন খানের বড় ভাই নাসির উদ্দিন খানসহ তাদের পুরোপরিবার বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। এই নাসির খান বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালিন সময় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কাঙ্গালী ভোজ অনুষ্ঠানে হামলা করে খিচুরি ডেক কুপিয়ে খাবার রাস্তায় ফেলে নস্ট করে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের মারধর করে অনুষ্ঠান ভন্ডুল করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব করেছিল। এই নাসির খান ২০০০ সালে বদরপুর ইউনিশনের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ও তার ভাই বশির সাধারন সম্পাদক বর্তমানে থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে বহাল আছে। নাসিরের শ্বশুর ছিল এ বিএনপি কমিটির সহ-সভাপতি।
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে এ নাসির খান আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করে। এ নাসির খান আওয়ামীলরগ ক্ষমতায় আসার আগে পা দিয়ে সাইকেলে ঘুরে ঘুরে পাঞ্জা বিড়ি বিক্রি করে আসছিল। নাসির কলে কৌশলে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করে কয়েক বছরের ব্যবধানে অবৈধভাবে ২টি বালির জাহাজসহ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। নাসির কলাতলা এলাকায় ২ কাঠা জায়গা দখল করে ৫ তলা ভবন নির্মান করেন। নাসির দলের নাম ভাঙ্গিয়ে খলিশাখালী মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়ে নিয়োগ বানিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং তার দুই শ্যালক বিএনপি কর্মীকে স্কুলে চাকুরী দেয়। বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে মনোনয়ন চাইলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষে একাধিক নেতা নাসিরের বিরুদ্ধে ডকুমেন্টসহ কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ করায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদ দখলের চেষ্টায় লিপ্ত থাকায় বদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বলে জানান সুলতান আহমেদ ও মুক্তা।