সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে পুলিশের গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের খোয়া যাওয়া মালামাল ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুইটি বার্মিজ চাকু ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আরিফুর ইসলাম মন্ডল বিপিএম (বার)।
বুধবার (১২ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকায় ঢাকা থেকে কাজ শেষে বগুড়ার সোনাতলা থানায় ফেরার পথে গাড়ি থামিয়ে পুলিশের ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি, পুলিশের পোশাক, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
গ্রেপ্তার ডাকাতদলের সদস্যরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রায়পুর উত্তরপাড়ার আব্দুল লতিফ খানের ছেলে তুষার আহম্মেদ ওরফে ইউসুফ খান (২২), চন্ডিদাসগাঁতী গ্রামের ভাড়াটিয়া মৃত নুরু মিয়ার ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩৪), চর-মালশাপাড়া মহল্লার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আব্দুল লতিফ খান (২১), পুর্ব মোহনপুর গ্রামের বাবু কসাইয়ের ছেলে ইনামুল হক আশিক (১৯), সয়াধানগড়া মহল্লার কিসমত আলীর শেখের ছেলে আব্দুল মোতাবেল হোসেন (২৬), চক শিয়ালকোল গ্রামের মৃত ফটিক শেখের ছেলে সোহেল রানা (২৮)।
পুলিশ সুপার জানান, বগুড়ার সোনাতলা থানার একটি অপহরণ মামলার ভিকটিম রুদামিলা আক্তার রিশাকে ঢাকা থেকে উদ্ধারের পর গত ১২ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড়ের কড্ডা এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের ভাড়াকৃত মাইক্রোবাসটিতে ৭/৮ জনের একটি ডাকাত দলের সদস্যরা ঢিল ছোরে। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা অপহৃত ভিকটিম স্কুলছাত্রীর চাচা শহিদুল ইসলামের মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তপাত শুরু হয়। মাইক্রোবাসের ড্রাইভার গাড়িটিকে থামিয়ে রক্তপাত বন্ধ করতে মাথায় গামছা বেঁধে দেওয়ার সময় ডাকাত দলের সদস্যা গাড়ির পিছন দিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পুলিশের ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি, পুলিশের পোশাক, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরের দিন সোনাতলা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল খালেক বাদী হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশের একটি চৌকস দল। ৭২ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ডাকাত দলের লিডার তুষারের নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছে তারা। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজাতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।