আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি :
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার প্রবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পর রাতে নিউ ইয়র্কের ম্যারিয়ট হোটেলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি একটা কথা বলব, আমাদের প্রবাসী যারা তারা কিন্তু বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ করতে পারেন।
“শুধু আমেরিকাই করবে তা না, আমাদের প্রবাসী আমেরিকানরা যতদূর পারেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।”
বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে সরকার বাংলাদেশে যে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা করে দিচ্ছে, তা প্রবাসীদের জানান প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথাও তিনি বলেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপও প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
দেশের গণমাধ্যমের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পত্রিকা শুধু নেতিবাচক কথা লিখবে, আর ভালো কথা লিখবে না, সেটা তো হয় না। পত্রিকা অপবাদ ছড়াবে শুধু, আর কনস্ট্রাকটিভ কথা বা বেশিরভাগ লোকজনই ভালো, সেই কথা বলবে না, সেটা তো হয় না।
“কাজেই দায়িত্বশীলতাটা সবদিক থেকে সবার সমানভাবে থাকা লাগবে।”
আওয়োমী লীগ সরকার ‘অনেকগুলো গণমাধ্যমের অনুমতি দিয়ে বলার ও লেখার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তবে ‘মিথ্যা অপবাদ’ দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত যেন না করা না হয়, সেদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে নানা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার কথাও বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরলে তার জীবনের উপর শঙ্কা থাকলেও তিনি কখনও থেমে থাকেননি।