বরিশাল প্রতিনিধি :
গত তিনদিন আগে ভেঙে পড়া সেতুর কারণে বরিশাল শহরের সঙ্গে বানারীপাড়াসহ ছয় রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার ভোরে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন স্থানে পাথরবোঝাই ট্রাকের ভারে সেতুটি ভেঙে পড়ে। কিন্তু এখনো এ সেতু মেরামত বা নির্মাণে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আরো প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে অথবা সেতু এলাকা হেঁটে পার হয়ে যানবাহন পরিবর্তন করে গন্তব্যে ছুটতে হচ্ছে যাত্রীদের।
স্থানীয়রা জানায়, বরিশাল সদরের সঙ্গে বানারীপাড়া ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ, নাজিরপুর, ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর, নবগ্রাম ও উজিরপুরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। এক দশক আগে মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
ওইসময় সড়কের পাশে বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ওই সেতু দিয়ে এতদিন গাড়ি চলাচল করছিল। তবে অস্থায়ী বেইলি সেতুটি ভেঙে পড়ায় বরিশালের সঙ্গে নেছারাবাদ ও বানারীপাড়ার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বানারীপাড়ার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান জানান, আমি বরিশাল থেকে বানারীপাড়া আসার জন্য বাসে উঠেছি। কিন্তু সেতু ভাঙার কারণে যেতে পারিনি। পরে হেঁটে অন্য প্রান্তে গিয়ে আবারো বাসে উঠে বানারীপাড়া যেতে হয়েছে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, সেতু ভেঙে যাওয়ার পর থেকে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ। তবে পাশের একটি মাটির সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল ও মাহিন্দ্র চলাচল করছে। শিগগিরই এ সেতু সংস্কার করা হবে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক কিশোর কুমার দে জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে বুধবার থেকেই তারা নথুলাবাদ থেকে মাধবপাশার ভাঙা সেতুর এপার পর্যন্ত এবং ওপার থেকে বানারীপাড়া ও নেছারাবাদ পর্যন্ত বাস চলাচল চালু করেছেন। তবে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান।
বরিশাল সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ সুমন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি মেরামতের কাজ চলছে। শিগগিরই মেরামতকাজ সম্পন্ন হবে।