রংপুর প্রতিনিধি :
আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সফলতার সঙ্গে ৩ বছর অতিবাহিত করে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, রংপুরের অতিবাহিত বছরের কার্যক্রম মিডিয়া ও সুধী সমাজের কাছে তুলে ধরার জন্য আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলন।
গত এক বছরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগের ৩ টি জোনের অধীন ৬ টি থানায় মোট ১৭৪৪ টি মামলা রুজু হয়েছে, এর মধ্যে ১৪৩৮ টি মামলার তদন্ত সমাপ্ত করে নিষ্পত্তি করাসহ ১৮৩০ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত এক বছরে ৬ টি থানায় মোট ২৫৩৬ টি জিআর ওয়ারেন্ট, ১০৩৩ টি সিআর ওয়ারেন্ট ও ১০৬ টি সাজা ওয়ারেন্ট (জিআর ও সিআর) নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও উদ্ভূত নানা ধরণের আইনগত সমস্যা প্রতিকারের লক্ষ্যে মোট ৪৩৫২ টি Non-FIR প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে।
আলোচ্য বছরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকার পাশাপশি অপরাধ তদন্ত, চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও হত্যা মামলার রহস্য দ্রæততার সাথে উদঘাটন করায় ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কোতয়ালী থানাধীন লিচুবাগান এলাকার উজ্জ্বল নামীয় যুবক খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল আসামী গ্রেফতার ও খুনের রহস্য উদ্ঘাটন, গণেশপুর এলাকায় একই পরিবারের দু’বোন হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উম্মোচন ও ঘটনায় জড়িত আসামী গ্রেফতার, মরিচটারী এলাকায় শিশু হত্যার রহস্য উম্মোচন ও আসামী গ্রেফতার, পায়রা চত্বর সংলগ্ন মকবুল হোটেলের পার্শ্বে দোকান চুরির রহস্য উম্মোচন, আসামী গ্রেফতার ও চোরাইমাল উদ্ধার করা হয়। তাজহাট থানা এলাকায় বাদশা মিয়া হত্যা মামলার মূল রহস্য উম্মোচন ও ঘটনায় জড়িত আসামী গ্রেফতার করা হয়। মাহিগঞ্জ থানা এলাকায় পায়ুপথে হাওয়া দিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত পলাতক আসামী ঢাকা হতে গ্রেফতার, নকল ব্যান্ডরোল ও বিড়িসহ ট্রাক জব্দ করা হয়। হারাগাছ থানা কর্তৃক নকল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোল ছাপানো মেশিন উদ্ধার, নারী ও শিশু নির্যাতন তৎসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে দায়েরকৃত মামলার আসামীকে ঠাকুরগাঁও হতে গ্রেফতার করা হয়। পরশুরাম থানা এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করা অবস্থায় হাতেনাতে উগ্রপন্থি দুষ্কৃতিকারী গ্রেফতার এবং চেতনানাশক সিন্ডিকেট গ্রেফতার ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। হাজীরহাট থানায় চাঞ্চল্যকর কিশোরী গণধর্ষণ মামলার সকল আসামীদের গ্রেফতার, প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা, অপহরণ অশ্লীল ছবি ধারন মুক্তিপণ আদায়কারী গ্রেফতার; অপহরণ এবং ২৪ ঘন্টায় ভিকটিম উদ্ধারসহ আসামী গ্রেফতার।
বিভিন্ন সময়ে রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকা হতে বিপুল সংখ্যক চোরাই মোটরসাইকেল ও ব্যাটারি চালিত অটো দ্রæততম সময়ে উদ্ধার ও চোরাকারবারীদের গ্রেফতার আপরাধ দমনে দৃশ্যমান সাফল্য। আইজিপি মহোদয়ের মাদক নির্মুলে জিরো টলারেন্স নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাদক উদ্ধারে ঝটিকা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম ডিভিশন ও গোয়েন্দা বিভাগকর্তৃক গত এক বছরে আনুমানিক ৫৪,৪০,৬৭০/- (চুয়ান্ন লক্ষ চল্লিশ হাজার ছয়শত সত্তর) টাকা মূল্যমানের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ এর সার্বক্ষনিক রণপাহারা ও নজরদারীর ফলে নগরবাসীর মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোর্ট পুলিশের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে মামলা দ্রæততর নিষ্পত্তি হচ্ছে।
গত এক বছরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কঠোর পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধীদের বিভিন্ন দল/গোষ্ঠীকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে ৬০ (ষাট) জন নাশকতাকারীকে নাশকতার প্রস্তুতির সময় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১১ টি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। দিবারাত্রি পুলিশ টহলের মাধ্যমে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কারণেই মানুষ এই নগরীতে নিরাপদে বসবাস করছে। মাদকের পাশাপাশি বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে সভা-সমাবেশ অব্যাহত আছে।
গত এক বছরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ২ টি জোনের অধীন ৩৪,৬৪৮ টি মামলা ও ৫,৯৬,৯৯,৮৩০/- (পাঁচ কোটি ছিয়ানব্বই লক্ষ নিরানব্বই হাজার আটশত ত্রিশ) টাকা জরিমানা আদায়পূর্বক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে সক্ষম হয়েছে। আলোচ্য সময়ে ৩,৬৯২ টি যানবাহন আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হয়রানি রোধকল্পে মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠার প্রায় প্রথম থেকেই ট্রাফিক বিভাগে ই-প্রসিকিউশন (POS Machine এর মাধ্যমে) চালু করা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ট্রাফিক সদস্যদের মাঝে Body Worn ক্যামেরা চালু করা হয়েছে। মহানগরীর বিভিন্ন স্থানের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ফুটপাত দখলমুক্ত করে পার্কিং ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে যানবাহন ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হয়েছে।সড়ক ও মহাসড়কের পার্শ্বে ট্রাফিক সচেতনতামূলক পর্যাপ্ত বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। পার্কিং জোন এবং নো-পার্কিং জোনে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিবহন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং নজরদারি অব্যাহত আছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার লক্ষ্যে সিসিটিভি সংযোগের বিস্তৃতি ঘটানো হয়েছে। যার ফলে কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাশ্রয়ীমূল্যে এ্যাম্বুলেন্সসেবা প্রদাণের লক্ষ্যে অতিসম্প্রতি রংপুর মেট্রোপলিটনে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস যুক্ত করা হয়েছে।
গত এক বছরে রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কর্তৃক মহানগরীরতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধ দমন, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, বিভিন্ন প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার, নকল স্বর্ণের মূর্তি উদ্ধার, আন্তঃ জেলা ইজিবাইক চোর চক্রকে গ্রেফতার, নকল স্টাম্প ও ব্যান্ডরোল উদ্ধার, মেয়াদোত্তীর্ণ আটা উদ্ধার, কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে। নকল ঔষধ, নকল সার, নকল সাবান, নকল প্রসাধনী, নকল কয়েল, ভেজাল পোলাও চাল, ভেজাল দুধ এবং সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় অভিযান পরিচালনাপূর্বক আনুমানিক তিন কোটি টাকা মূল্য মানের মালামাল জব্দ করতঃ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫,৯৫,০০০/- (পাঁচ লক্ষ পঁচানব্বই হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য জুয়াড়– গ্রেফতারসহ পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ অফিস এবং হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গোয়েন্দা শাখার অভিযানের মাধ্যমে ১৯৫ জন দালালকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, আলোচ্য সময়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (থানা ও গোয়েন্দা বিভাগ) মাদক উদ্ধারে অভুতপূর্ব সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে গাঁজা- ১৭৭.৩৫ কেজি, ইয়াবা ট্যাবলেট- ৮৭৫৭ পিস, ফেন্সিডিল- ১৫৪৭ বোতল, হেরোইন- ৬৪.৫৮ গ্রাম এবং চোলাই মদ- ১১৪ লিটার উদ্ধার করার মাধ্যমে নগরীকে মাদকমুক্ত রাখার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’ শ্লোগানে পুলিশের সেবাকে জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এতে পুলিশি সেবা সরাসরি থানা থেকে তৃর্ণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় একইসাথে সমাজ থেকে অপরাধভীতি দূর এবং জনমনে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত এক বছরে নগর বিশেষ শাখা ভিআর তদন্ত , পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রদান অব্যাহত রয়েছে এবং সর্বমোট ৭৬,২১১ জন নাগরিকের তথ্য সিআইএমএস (সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মহানগরের সকল নাগরিকের তথ্য সিআইএমএস এ অন্তর্ভুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের অক্লান্ত পরীশ্রমের ফলে ২৮ ফেব্রæয়ারী, ২০২১ তারিখ হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচন ও ২১ জুন ২০২১ তারিখ কল্যানী ইউনিয়ন পরিয়দ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। করোনা অতিমারীতে টিকা প্রদান ও করোনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা অগ্রিম তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে রোধ করা সম্ভব হয়েছে। জঙ্গী তৎপরতা রোধ, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, শিক্ষা ব্যবস্থায় অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা রোধসহ নানা বিষয়ে অগ্রিম তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩য় বছরে এস্টেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কার্যক্রমে দৃশ্যমান গতিশীলতা এসেছে। পুলিশ লাইন্সের জন্য দর্শনা পাহাড়ী মৌজার ১০ (দশ) একর, হারাগাছ থানা, পরশুরাম থানা, হাজিরহাট থানা ও তাজহাট থানার প্রত্যেকটির জন্য ০.৭৫ একর এবং পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় এর জন্য গণেশপুর মৌজাস্থ ১০ একরসহ পুলিশ কমিশনারের বাসভবনের জন্য রঘুনাথগঞ্জ মৌজাস্থ ০.৩৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া রংপুর জেলা হতে প্রাপ্ত নবাবগঞ্জ ও ধাপ পুলিশ ফাঁড়ি ভবন (৬ তলা) এবং পুলিশ অফিসার্স মেস এর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
“আমরা আছি, তোমাদের সাথে” এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে ২৩ জানুয়ারী ২০২১ খ্রিঃ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নারী কল্যান সমিতি (পুনাক) এর নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। মেট্রোপলিটন পুলিশ নারী কল্যান সমিতি (পুনাক) নারীদের উন্নয়নসহ সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে আত্মনিয়োগের পাশাপাশি নিজস্ব পরিমন্ডলের বাইরে সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত নারীদের জীবনমান উন্নয়নে পুনাক কার্যকর পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে পুলিশ নারী কল্যান সমিতি (পুনাক), কর্তৃক বৃক্ষরোপণ ও অসহায়, গরীব, দুঃস্থ এবং শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
স্মরণকালের ভয়াবহ মহামারী করোনা ভাইরাস সৃষ্ট কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধান সামগ্রী (হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, জীবনুনাশক) বিতরণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিলি করা হয়েছে। করোনকালীন সংকট সময়ে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে মাঠ পর্যায়ে ডিউটি করতে গিয়ে গত এক বছরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬৫ জন সদস্যসহ এ যাবৎ ২৩৭ জন সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। সংকট সময়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জীবনের ঝুকি নিয়ে নগরবাসীর সেবায় নিয়োজিত ছিল এবং থাকবে। সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে সহযোগিতার লক্ষ্যে “মানবতার বন্ধনে রংপুর” নামক সংগঠনের মাধ্যমে নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
হেডকোয়ার্টার্স ডিভিশন এর সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় যেসব ক্ষেত্রে সফলতা এসেছে তা হলো: অফিসার ও ফোর্সের কল্যাণে প্রতি মাসে কল্যাণ সভার আয়োজন, চিকিৎসা সেবা, পোশাক সামগ্রী, লজিস্টিকস, যানবাহন ও জ¦ালানী, মানসম্মত রেশন সামগ্রী, ক্রীড়া সামগ্রী নিশ্চিত, খেলা-ধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, আরপিএমপি’র যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম যেমন- বদলী, ছুটি, পদোন্নতি, টাইম স্কেল, উচ্চতর স্কেল প্রদান, প্রকিউরমেন্ট, মেরামত ও সংস্কার, APA চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়ন। ‘পুলিশ ট্রেনিং স্কুল’ চালু ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ডিজিটালাইজড করা এবং প্রশিক্ষণের আয়োজন করে প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, সকল থানা ও কোর্টে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হেল্পডেস্ক প্রস্তুত ও জনবল পদায়ন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণকালে পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড, হ্যান্ড গøাভস, সাবান, ঔষধ সরবরাহ, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ লাইন্স ব্যতীত শিরিন পার্ক ও শিমুলবাগ কমিউনিটি সেন্টার ভাড়ায় গ্রহণ করে অফিসার ও ফোর্সদের বিভাজন করে নিরাপদ রাখা, করোনায় আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনে রেখে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে প্লাজমা দানের জন্য ১৬ জন পুলিশ সদস্যকে প্রেরণ, শতভাগ আরপিএমপি পুলিশ সদস্যদের করোনা ভ্যাক্সিন গ্রহণ নিশ্চিত করা। পুলিশ লাইন্সে আধুনিক ডাইনিং হল নির্মাণ, সকল ইউনিটকে সিসি ক্যামেরা তথা Web Base Network-এ আনয়ন, মোটরযান শাখা আধুনিকায়ন, এপিসি, ওয়াটার ক্যানন, এ্যাম্বুলেন্স, ফোর্স বহনকারী বাস, রেকার ও অন্যান্য যানবাহনসহ প্রয়োজনীয় সকল যানবাহনের সংকুলান এবং হেডকোয়ার্টার্স ডিভিশনের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে মোটরযান শাখায় নতুন ০৮ টি গাড়ি সংযোজন। আরপিএমপির ওয়েবসাইট মেইনটেইনেন্স ও আপডেট। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’ গ্রন্থের প্রকাশ, প্রচার ও মোড়ক উন্মোচন, কমিউনিটি পুলিশিং রংপুর মেট্রোপলিটন কমিটি ২০২০-২০২১ গঠন, অভিষেক অনুষ্ঠান ও বিশিষ্টজনদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট, পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন। ‘মানবতার বন্ধনে রংপুর’ এর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সুষ্ঠু ও সফলভাবে আয়োজন, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, আরপিএমপি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা ও একটি সু-সজ্জিত আরপিএমপি ব্যান্ড দল গঠন।
গাড়ীতে ‘রংপুর মেট্রো-০০-০০০০ রেজিস্ট্রেশন’ লিখিত নম্বর সংযোজনের উদ্যোগ গ্রহণ। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অধিক্ষেত্র ৩৩ টি ওয়ার্ড ও ২ টি ইউনিয়ন (৬ টি থানা) ৫৫ টি বিটে ভাগ করে প্রতিটি বিটে জনবল পদায়নসহ প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস প্রদান। প্রয়োজনীয় স্থাপনা ও লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান করে রংপুর বিভাগে সর্বপ্রথম কমিউনিটি ব্যাংক এর বুথ চালুকরণ। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের জন্ম ইতিহাস ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও উপকরণ হেডকোয়ার্টার্স ডিভিশন কর্তৃক সরবরাহের মাধ্যমে একটি দৃষ্টি নন্দন আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
মহানগরীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় চলমান কার্যক্রম জোরদারকরণ ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার যুগোপযোগী বাস্তবায়নের মাধ্যমে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সরকারের ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের অদম্য ও প্রতিশ্রæতিশীল অংশীদার। “মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার” এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মহানগরীর সকল স্তরের জনগণকে নিয়ে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। স্বাধীনতার সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যবাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।