স্টাফ রিপোর্টার :
গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্য হলো, আমরা যখন সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আমরা দেশের প্রত্যেকটা মানুষকে ঘর করে দেব। আমাদের দেশের কিছু মানুষ এত জঘন্য চরিত্রের হঠাৎ দেখলাম কয়েকটা জায়গায় ঘর ভেঙে পড়ছে। কোথাও ভাঙা ছবি। সেসব দেখে পুরো ঘটনা সার্ভে করলাম কোথায় কী হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রায় দেড় লাখ ঘর বানিয়ে দিয়েছি। ৩০০ ঘর বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে থেকে গিয়ে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙেছে এবং বিভিন্ন জায়গায় ছবি প্রকাশ করেছে। এদের নামধাম সবকিছু ইনকোয়ারি করে বের করা হয়েছে। আমার কাছে পুরো রিপোর্টটাই আছে। গরিবের জন্য করে দেওয়া ঘর যে এভাবে ভাঙতে পারে, সেই ছবিগুলো দেখলে সেটা দেখা যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, সব থেকে অবাক লাগে যে, মিডিয়াগুলো সেসব ধারণ করে আবার প্রচার করে। কিন্তু সেটা কীভাবে হলো, সেটা প্রচার করে না। কয়েকটা জায়গায় কোথাও কোথাও অতিবৃষ্টির কারণে ঘর ভেঙেছে। নয়টা জায়গায় আমরা পেয়েছিলাম যেখানে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু আমি দেখেছি যে, প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে।
বৈঠকে তিনি বলেন, ডিসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ যাদের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তারা অনেকেই নিজে থেকে এগিয়ে এসেছেন সহযোগিতা করার জন্য। আন্তরিকতাই বেশি দেখিয়েছে সবাই সেখানে কিছু দুষ্টুবুদ্ধি। এটাই কষ্টকর যে, যখন গরিবের জন্য ঘর করে দিলাম, সেখানে হাত দেয় কী করে। যাই হোক, আমরা সেসব মোকাবিলা করে যাচ্ছি। আমাদের সেসব নিয়ে নেতাকর্মীদেরও সতর্ক থাকা দরকার। স্থানীয় নেতারাও সহযোগিতা করছে।
বৈঠকের কাজ শুরু করছি। সাংগঠনিক তথ্য কিছু নেব। আপনাদের কথাও শুনব। তা ছাড়া, আমি তো বন্দিখানায় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণত চার মাস পরপর দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে আমরা সময়মতো এটা করতে পারিনি। এখন করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় বৈঠকটি করতে পারছি।