পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
জমি জমা বিরোধের জের ধরে বিরোধী পক্ষ সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা কসমেটিকস দোকানে হামলা চালিয়ে সহোদর দুই ভাইকে মারধর করে দোকান ভাংচুর করে বিকাশ ও পল্লী বিদ্যুতের জমাকৃত সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের মধ্য ধরান্দীস্থ ডিজিটাল মার্কেটে। এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় রেজাউল করিম ওরূপে ফারুক পাহলানকে প্রধান আসামী করে সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিমদ্বয়ের বাবা আবুল কালাম হাওলাদার। মামলা নং- ২৮, তারিখ ২৫.০৮.২১ইং।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানাগেছে, ঘটনার দিন ২৫ আগস্ট বুধবার আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে জমা জমি দখল সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই এলাকার প্রতিপক্ষ মো. রেজাউল করিম ওরূপে ফারুক পাহলান(৪৫) এর নেতৃত্বে সিদ্দিক পাহলান(৪২), শাহ আলম পাহলান(৬৫), জাহিদুল ইসলাম ওরূপে সোহরাব পাহলান(৪০), আনিচুর রহমান পাহলান(৩৫), সুমন পাহলান(৩০) ও খায়রুল ইসলাম(৫০) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন দেশী তৈরী ধাড়ালো অস্ত্র দা, লোহার রড, লাঠি সোটা নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটস্থ আবুল কালাম হাওলাদারের কসমেটিকস দোকানে জোরপূর্বক ঢুকে দোকানে থাকা দুই সহোদর ভাই ( বাদীর ছেলে) রেজাউল হোসেন হাওলাদার (২৪) ও ফিরোজ হাওলাদার(২৬) এর সাথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তর্ক বিতর্ক শুরু করেই তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে দুই ভাইকে গুরুতর জখম করে দোকান ভাংচুর করে দোকানের ড্রয়ারে থাকা বিকাশ ও পল্লী বিদ্যুতের জমাকৃত নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এ খবরে বাড়ির লোকজন দৌড়ে এসে জখমী দুই ভাইকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিস্ট পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সদর থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে আসামী করে উক্ত মামলা করেন দোকান মালিক আবুল কালাম হাওলাদার। মামলাটি তদন্তের জন্য এস আই প্রিয়লাল ঘোষকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান সদর থানার ওসি আখতার মোর্শেদ।