সাতক্ষিরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডারের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া চার মাসের শিশু মারিয়াকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে লালন পালন এবং শিশুদের কল্যাণার্থে প্রতিষ্ঠা করা হলো ‘মারিয়া ফাউন্ডেশন’।
২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়ার হেলাতলায় একই পরিবারের চারজনকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া চার মাসের শিশু মারিয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
দীর্ঘ ৩২ মাস পর সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলির আদেশ হওয়ায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল নিজ তাড়নায় শিশু মারিয়াকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে লালন পালনের জন্য প্রতিষ্ঠা করলেন ‘মারিয়া ফাউন্ডেশন’।
বিদায়ী জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ টাকা জমা দিয়ে ফাউন্ডেশনের ভীত রচনা করেন।
গত সোমবার (২১ জুন) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে ‘মারিয়া ফাউন্ডেশন’র রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, সাতক্ষীরা আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি। যতদিন বেঁচে থাকবো সাতক্ষীরা আমার হৃদয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমি শিশু মারিয়ার দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে তাকে কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাসিমা খাতুনের কাছে রেখেছিলাম। সেখানেই শিশুটি নিরাপদে এবং সুন্দরভাবে বড় হচ্ছে। সম্প্রতি আমার বদলির আদেশ হয়েছে। যেহেতু নতুন কর্মস্থলে যেতে হবে, তাই শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ‘মারিয়া ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ব্যক্তি এস এম মোস্তফা কামাল মারিয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও পদাধিকার বলে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়াও অন্যান্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে থাকবেন। আমি যেখানেই থাকি ফাউন্ডেশনটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবো। আমি ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ টাকা ফাউন্ডেশনে জমা দিয়েছি। যে কেউ এই ফান্ডে টাকা দিতে পারবেন। ১৮ বছর পর্যন্ত ফাউন্ডেশন মারিয়ার সব প্রয়োজনে পাশে থাকবে। সব রকম সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
মিট দ্য প্রেসে অন্যান্যদের মধ্যে সম্প্রতি উপসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানজিল্লুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।