
মুহাম্মাদ ওমর ফারুক (বাগেরহাট) :
আযানের পূর্বে দরুদ শরীফ পড়া কোন কিতাবে পাওয়া যায় না। তবে নিম্নলিখিত কিতাবে আজানের পরে দরুদ শরীফ পাঠ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন, গায়াতুল আওতার কিতাবে লেখা আছে- হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম এর ওফাতের পর ৭৮১ হিজরীতে, রবিউল আউয়াল চাঁদের শেষ সোমবার, এশারের আযানের পর তাসলিম অর্থাৎ দরুদ শরীফ পড়া আরম্ভ হয়। তৎপর জুমার দিন ও এই রুপ দশ বৎসর পর্যন্ত আযানের পরে দরুদ শরীফ পড়িত। উক্ত ১০ বছর পরে মাগরীবের নামাজের বাদে তাসলিম বলা আরম্ভ হয়। পুনুঃ মাগরিবের নামাজে মাত্র ২ বার দরুদ শরীফ পাঠ করা হয়। এই তাসলিম (দরুদ) পাঠ করা বেদাতে হাসানা ( নেক বেদয়াত) ।
( ফতোয়ায় শামি, ফতোয়ায় দুররুল মোখতার। )
আজানের পরে দুরুদ-সালাম পড়ার নিয়ম :
আজানের পরে মক্কা শরিফে যেইরূপ দরুদ- সালাম পড়িয়া থাকে, সেগুলো থেকে কতগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(ا) الصلاة والسلام عليك يا سيدنا ونبينا وحبيبنا وشفيعنا يا رسول الله.
(ب) الصلاة والسلام عليك يا من بالحسن والجمال كملك الله .
(ت) الصلاة والسلام عليك يامن بالشفاعة العظمي خصك الله .
(ث) الصلاة والسلام عليك يا من بسيف النصر قلدك الله
(ج) الصلاة والسلام عليك يا من بطيبة الفيحاء اجلسك الله
(ح) الصلاة والسلام عليك يا من على بساط النور اجلسك الله
(ه) الصلاة والسلام عليك يا من اول خلق الله وخاتم رسول الله.