বরিশাল প্রতিনিধি :
পীর ছাহেব আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে চরমোনাই দরবার শরিফেল ফাল্গুন মাসের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল গতকাল বুধবার বাদ জোহর শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী বয়ানে পীর ছাহেব বলেন, চরমোনাই মাহফিল দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে নয় বরং পথভুলা মানুষকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই তা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, এখানে দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
গতকাল বুধবার বাদ জোহর চরমোনাই মাদরাসার মূল মাঠসহ আশেপাশের পাঁচটি মাঠ নিয়ে চরমোনাইর এ বার্ষিক মাহফিলে সারা দেশ থেকে কয়েক লাখ মুসুল্লী অংশ নেন। পীর ছাহেব বলেন, যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখেরাতের খেয়াল অন্তরে জায়গা দিন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব বের করে আল্লাহর পথে নিজেকে বিলীন করে দিয়ে পীর ছাহেব বলেন, সদা-সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলী হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।
পীর ছাহেব চরমোনাই এবারের মাহফিলে যুবকদের ব্যাপক উপস্থিতি বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশের যে কোনো বড় ধরনের পরিবর্তনে যুব সমাজের ভূমিকা অগ্রগামী। সুতরাং যুব সমাজ যদি চারিত্রিকভাবে ভালো হয়, তবে সমাজের বিদ্যমান অনাচার অবিচারের মূলোৎপাটন হওয়া সময়ের ব্যাপার। পীর সাহেব তার উদ্বোধনী বয়ান শেষে মাহফিলের নিয়ম-কানুন সম্পর্কেও স্পষ্ট বর্ণনা করেন।
এবারের মাহফিলে মূল ৭টি বয়ান ছাড়াও অন্যান্য সময়গুলোতে নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন ও চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, চরমোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, শায়েখ ফজলুল করীম (রহ.)এর ভাই মাওলানা সৈয়দ নাসির আহমাদ কাওছার, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ জিয়াউল করীমসহ দেশ বিদেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামগণ গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন।
মাহফিল এলাকায় আইনশঙ্খলা রক্ষায় বরিশাল মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও শৃঙ্খলা রক্ষায় মুজাহিদ কমিটির পরিচালনায় বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রাখা হয়েছে।