ভোলা প্রতিনিধি:
নির্মাণের পর থেকে তালাবদ্ধ করে রাখায় কার্যত বিশ্রামেই সময় কাটছে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটের যাত্রী বিশ্রামাগারের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ঘাটের লঞ্চযাত্রীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে যাত্রীদের সুবিধার জন্য ২ কক্ষবিশিষ্ট একটি আধুনিক বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও বিশ্রামাগারটি সাধারণ যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক যাত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুটের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ইলিশা লঞ্চঘাট। প্রতিদিন ঢাকা-ভোলা-মজুচৌধুরী-বরিশাল রুটের অন্তত ১৫ টি লঞ্চ এ ঘাটের যাত্রী পরিবহন করে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ রুটে ১৪ টি লঞ্চ রয়েছে।
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ঢাকা-মজুচৌধুরী-বরিশালের উদ্দেশে ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে কয়েক হাজার যাত্রী তুলে নেয় লঞ্চগুলো। আবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ থেকে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় যাত্রী নামিয়ে দেয়া হয়। আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে রাত হওয়ায় ইলিশা লঞ্চঘাটে নিরপত্তাহীনতায় সময় কাটে যাত্রীদের।
বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ ইলিশা লঞ্চঘাটে একটি যাত্রী বিশ্রামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইলিশাঘাটে একটি যাত্রী বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর থেকেই এ বিশ্রামাগারটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা এসে রাস্তার পাশে অথবা যেখানে সেখানে বসে অপেক্ষা করেন।
ইলিশা লঞ্চঘাট ইজারাদার সরোয়ার মাষ্টার বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই তালাবদ্ধ দেখছি নবনির্মিত বিশ্রামাগারটি। বিশ্রামগারটি যাত্রীদের জন্য উম্মুক্ত করে দিতে একাধিকবার বন্দর কর্মকর্তা কামরুজ্জামানকে জানানো হয়েছে। তবুও এর কোনো সাড়া পাইনি।
ভোলা নদীবন্দর কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বিশ্রামগারটি খোলা হচ্ছে না। একাধিকবার বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে ১ সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্রামগারটি খুলে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকুক আর না থাকুক।