আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মহানবী (সা.) এর অবমাননার প্রতিবাদে বিভিন্ন দেশে দোকান থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে ফ্রান্সের সামগ্রী, দেশে দেশে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর মন্তব্যের জেরে ফরাসি জিনিস বয়কট করেছে আরব দেশগুলো। সেখানে দোকান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ফ্রান্সের সামগ্রী। মাক্রোঁর মন্তব্যের ফলে কুয়েত, কাতার ও জর্ডনের দোকান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ফরাসি জিনিস। লিবিয়া, সিরিয়া ও গাজা ভূখণ্ডে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। -ডয়েচে ভেলে
অনেক আরব দেশেই ফরাসি জিনিস, বিশেষ করে মেকআপ সামগ্রী ও সুগন্ধী আর বিক্রি করা হচ্ছে না। শপিং মল বা দোকানের তাক খালি করে দেয়া হয়েছে। কুয়েতে পাইকারি জিনিস বিক্রেতাদের একটি প্রধান ইউনিয়ন ফরাসি জিনিস বয়কটের ডাক দিয়েছে। তারপরই দোকান ও মল থেকে ফরাসি জিনিস সরে গেছে। সউদি আরবেও বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ব্যঙ্গ করে মত প্রকাশের অধিকারের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন প্যারিসের একটি স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি। তাকে হত্যা করে ১৯ বছর বয়সী এক চেচেন। তারপরই ফ্রান্স জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। মাক্রোঁ তখন বলেছিলেন, ‘আমরা কার্টুন ছেড়ে দেব না।’ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এরদোগান বলেন, ম্যাক্রোর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। পশ্চিম ইউরোপের সংখ্যালঘু সংগঠনও বলেছে, মাক্রোঁ ইসলামোফোবিয়া বাড়াতে সাহায্য করছেন।
মাক্রোঁ টুইট করে বলেছেন, আমরা পরাজয় স্বীকার করব না। আমরা হেট স্পিচ বরদাস্ত করব না। যুক্তিসঙ্গত তর্ক সবময়ই সমর্থন করব। আমরা সবসময়ই স্বীকৃত মূল্যবোধ ও মানবিক মর্যাদার পক্ষে। এই অবস্থায় ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ফরাসি জিনিস বয়কটের ডাক অর্থহীন। চরমপন্থীরা এই কাজ করছেন। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা উচিত।