ধর্মীয় প্রতিবেদকঃ
আজ ১ মুহাররম ১৪৪২ হিঃ, শুক্রবার। নবী কারীম (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর যুগে নববর্ষ পালনের রেওয়াজ ছিল কিনা জানিনা। তবে এতটুকু বলতে পারি ষে , বিভিন্ন কারণে হিজরী নববর্ষ তাতপর্য বহন করে।
১. আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন- ان عدة الشهور عند الله اثنا عشر شهرا الاية. এ আয়াতের মর্মানুযায়ী মাস ও বর্ষ গননায় বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনটি গুরুত্বের দাবী রাখে।
২. মুহররম মাসের 10 তারিখ ঐতিহাসিক ঘটনাবহুল ও ফজীলতপূর্ণ আশুরা দিবস স্মরণ রাখতে ও পালন করতে মাসের প্রথম দিন তথা হিজরী নববর্ষ মনে রাখা অপরিহার্য।
৩. আল্লাহর বাণী وليال عشر এর তাফসীরে কেউ কেউ আল্লাহর শপথকৃত মহিমান্বিত দশ রাত্রি হিসেবে মুহাররম মাসের প্রথম দশ রাত্রির কথা বলেছেন। সুতরাং মহিমান্বিত দশ রজনীর প্রথম দিন তথা হিজরী নববর্ষ তাত্পর্যবহ।
৪. পবিত্র কুরআনের বাণী يسالونك عن الاهلة قل هي مواقيت للناس والحج الاية এর মর্মার্থ অনুযায়ী সকল মাসের চন্দ্রের উদয়-অস্তের চেয়ে বছরের প্রথম মাসের চন্দ্র উদয়কে একটু বেশী গুরুত্ব দেয়াই স্বাভাবিক।
৫. হিজরী সন গননা করা হয় মহানবী সাঃ এর হিযরতকে স্মরণ করে। হিযরত ছিল ইসলামের প্রসার ও মহা বিজয়ের সূচনা। আজ থেকে 1441 বছর পূর্বে ইসলামের দিগ্বিজয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। নববর্ষের দ্বারা ইসলামের প্রাচিনত্বে আরেকটি পালক যুক্ত হল।
৬. ইসলামের অনেক ইবাদত মাস ও বছরের সাথে সম্পৃক্ত। তাই নববর্যের হাত ধরে উক্ত ইবাদতের জন্য প্রতীক্ষার পালা শুরু হয়।
তবে এ নববর্ষ দ্বারা নতুন প্রেরণা লাভ করা ব্যতীত বিশেষ কোন মাহাত্বের দাবী করা বিদয়াত তথা পরিতাজ্য হবে।