স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা নিয়ে দেশে তোলপাড় চলছে। এই প্রতারণার মূলহোতা জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরী গ্রেফতার হয়েছেন।
এ প্রতারণায় আরিফের অন্যতম সহযোগী তার স্ত্রী ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাও গ্রেফতার হয়েছেন। তবে এখনো গ্রেফতার হননি রিজেন্টের সাহেদ।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ জেকেজির প্রতারণা নিয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সচেতন আছি। যারাই এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেককেই আমরা গ্রেফতার করব।
রোববার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বেঠক শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেফতারের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘আমরা তাকে ধরার জন্য চেষ্টা করছি। আমাদের সকল ইউনিট কাজ করছে। সে গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তাকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
একটি অভিযোগ আছে সে ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।’
সাহেদ বিভিন্ন সময় অস্ত্র ব্যবহার করতেন। এমন মানুষকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয় কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অস্ত্রের লাইসেন্স আমি ইস্যু করি না।’
উল্লেখ্য, নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, চিকিৎসায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের প্রধান কার্যালয়, উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গা ঢাকা দিয়েছেন হাসপাতালের মালিক সাহেদ। সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
সাহেদ নিজেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য বলে পরিচয় দিতেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সাহেদ একসময় বিএনপি করতেন। বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তার তোলা ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চলছে নানামুখী আলোচনা সমালোচনা।