বরিশাল থেকে মোঃ মিজানুর রহমানঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক, সাবেক চীফ-হুইপ ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর স্ত্রী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর মাতা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতের প্রত্যক্ষদর্শী সাহানারা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
রবিবার (৭জুন) রাত ১১:৩০ টায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মরহুমার মৃত্যুর খবরে বিএসএমএমইউ’তে ছুটে যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
রাতেই বরিশাল ১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র স্ত্রীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে রবিবার রাতে মরহুমের মৃত্যুর খবরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বিএসএমএমইউ’তে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমও ছুটে যান।
রাতেই বিএসএমএমইউ’তে মরহুমের ১ম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী উপস্থিত ছিলেন।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে যেসব ঘাতকেরা বুলেটে ঝাজরা করে হত্যা করেছিল ঠিক একইদিনে বুলেটে ঝাজরা করে ঘাতকরা তাকেও মেরেছিল। কিন্তু তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন ।১৫ আগস্ট নির্মম বর্বরতার স্বাক্ষী হয়ে বেছে ছিলেন তিনি। বুলেটের যন্ত্রনা নিয়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন সেদিন। পঁচাত্তরের ঘাতকেরা সেদিন মনে করেছিল তিনি মারা গেছেন। কিন্তু তিনি মারা যান নাই। অবশেষে আজ তিনি মারা গেলেন।তিনি আর কেউ নয় বঙ্গবন্ধুর ভাগিনা জননেতা আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ত্রী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র মা সাহানারা বেগম। যিনি ৭৫’এর ১৫ই আগস্ট সন্তান ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে সন্তান হারিয়ে বেচে ছিলেন ।