২. হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ)- এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন :-
উচ্চারণ : ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।
অর্থ : হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্ব চরাচরের ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্যয় প্রার্থনা করছি। (তিরমিজি শরীফ : ৩৫২৪)
৩. সকল প্রকার বালা-মসিবত থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়াটি তিনবার পাঠ করবে :-
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল্লাজী লা ইয়াদ্বুররু মা’আ ইসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস সামা-ই, ওয়াহুয়াস সামী‘উল আলীম।
অর্থ : আল্লাহর নামে, যাঁর নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী। (আবু দাউদ শরীফ : ৫০৯০)
৪. সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়া পড়বে :-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সাময়ি আল্লাহুম্মা আফিনি বাসারি। লা ইলাহা ইল্লা আনতা আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবারি লা ইলাহা ইল্লা আনতা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার শরীরে সুস্থতা দান করো, হে আল্লাহ! আমার শ্রবণ শক্তিতে সুস্থতা দান করো, হে আল্লাহ! আমার দৃষ্টিশক্তিতে সুস্থতা দান করো, তুমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কুফুরি ও দরিদ্রতা থেকে, এবং তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আজাব থেকে। তুমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। (আবু দাউদ : ৫০৯২)
৫. বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে এই দোয়া পাঠ করুন :-
উচ্চারণ : আউজুবি কালিমাতিল্লাহিত তামমাতি মিন শাররি মা খলাক্বা।
অর্থ : আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি আল্লাহর সব পূর্ণ কালিমাসমূহের উসিলায়, তাঁর সৃষ্ট সকল প্রাণীর অনিষ্ট থেকে।
(মুসলিম শরীফ : ৭০৫৩)
৬. বিপদগ্রস্থ বা রোগী দেখে এই দোয়া পাঠ করলে বিপদ কিংবা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় না। :-
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আ’ফানী মিম্মাবতালাকা বিহী ওয়া ফাদ্দালাহু আ’লা কাছীরিম মিম্মান খালাক্বা তাফদীলা।
অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তোমাকে যাতে (যে বিপদে) পতিত করেছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তাঁর সৃষ্টির অনেক জিনিস অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দান করেছেন। (তিরমিজি ৩৪৩১)
৭. বাসা থেকে বের হওয়ার সময় নিম্মোক্ত দোয়া পাঠ করবে :-
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, অলা হাওলা অলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ : আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপ থেকে ফিরা এবং পুণ্য করা সম্ভব নয়। (আবু দাউদ শরীফ : ৫০৯৭)
২. সম্ভব হলে প্রত্যহ জমজমের পানি, আযওয়া খেজুর, কালোজিরা ও মধু পান করবেন। কারণ হাদীস শরীফে রোগ ব্যধী থেকে মুক্তি লাভের জন্য এগুলোর অনেক উপকারীতা বর্ণিত হয়েছে।