নেছারাবাদ প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে যুবলীগ নেতা ও ঔষধ ব্যবসায়ী মো. মামুন মিয়ার হত্যাকারীরা যেই হোক তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম (এমপি)।
মন্ত্রী শনিবার সকালে স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমির মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা ৫ জন দলীয় নেতার স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, দলের মধ্যে বেইমান খুনি মোস্তাকের মত লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়েছে। এরা দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে, এদের ব্যাপারে সতর্ক হয়ে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা যত চেষ্টাই করুক না কেন তারা আওয়ামী লীগের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। কারণ তারা জানে না ১৯৭৫ এর আওয়ামী লীগ আর এখনকার আওয়ামী লীগ এক নয়। এখনকার আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক সচেতন এবং শক্তিশালী। যারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোন ধরনের ক্ষতি বা নির্যাতন করবে তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, অধ্যক্ষ মো. বেলায়েত হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মুইদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন তৈমুর, পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি শশাংক রঞ্জন সমদ্দার, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম শাওন, যুবলীগ নেতা শাহ নাসির উদ্দিন, মো. শহিদুল ইসলাম রিপন ও উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে সম্প্রতি সময়ে মৃত্যুবরণকারী আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ মিয়া, সাবেক সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাউস মিয়া তালুকদার, দৈহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. বেলায়েত হোসেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. মামুন মিয়া ও ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল হাসান নকি সহ নিহত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলার আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। পরে মন্ত্রী নিহত যুবলীগ নেতা মামুনের বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
প্রসংগত গত ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি সোমবার সকালে উপজেলার সোহাগদল গ্রামের বৌ বাজার এলাকার একটি কড়াই গাছ থেকে সোহাগদল এলাকার আব্দুর রব মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা মামুনের রহস্যজনক অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ এ ঘটনায় সন্দিগ্ধ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে আহসানুল হক আশা ও একই গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে উপজেলা মো. মোস্তাফিজুর রহমার রিপন নামের দুই জনকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার আসামীদের পিরোজপুর আদালতে পাঠায় এবং একই সাথে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।