স্টাফ রিপোর্টারঃ
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পদ্মা সেতু তৈরী হবার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে। এখানে অসংখ্য কারখানা হবে। এলাকার বহু ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন যারা বড় হচ্ছে, যারা এখন লেখাপড়া করছে তাদের চাকুরীর অভাব হবে না। সরকারকে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। আর এটাই মুজিব বর্ষে সরকারের অঙ্গীকার।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ৬১ ভাগ মানুষ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী, এরা সবাই কর্মক্ষম। যারা লেখাপড়া করেছে সরকার তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভাল চাকুরী পাওয়ার ব্যবস্থা করবে। সেই সাথে যারা শিক্ষিত নয়, তারাও যাতে কিছু করে খেতে পারে সে ব্যবস্থাও করবে বর্তমান সরকার। সারা বিশ্বে মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য অনেক কষ্ট করে। তারা কাজ করার মানুষ পায় না। আমাদের এখানে মানুষ অনেক আছে কিন্তু কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো দু’টি। একটি স্বাধীন দেশ, একটি পতাকা আর একটি ভূখন্ড। আর একটি স্বপ্ন ছিলো এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। অর্থাৎ আলোকিত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা ছিলো জাতির পিতার স্বপ্ন। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সব কিছু করবে সরকার।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমিন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বাবুল শেখসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস