আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। গতকাল শুক্রবার ইসলামাবাদে পাক সংসদের একটি যৌথ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন এরদোগান। এ সময় তিনি পাকিস্তানের প্রতি তার দেশের সমর্থন এবং ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সে (এফএটিএফ) তাদের পক্ষে অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
দুই দিনের সফরে এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানের সংসদে দেয়া ভাষণে এরদোগান জানান, পাকিস্তানকে তিনি নিজের দেশের মতোই মনে করেন। তাই যে কোনো সংকটে তিনি পাকিস্তানের পাশে থাকতে চান। তিনি বলেন, কয়েকশ’ বছর আগে তুরস্কের কানাকালেতে যে ধরনের হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল ঠিক তেমনটিই ঘটছে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে। এর বিরুদ্ধে তুরস্ক সবসময় প্রতিবাদ করে যাবে।
কাশ্মীর ইস্যুতে এরদোগান বলেন, ‘আমাদের কাশ্মীরি ভাই-বোনরা কয়েক দশক ধরে সংকটে ভুগছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে এই ভোগান্তি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যু সংঘাত বা নিপীড়নের মধ্য দিয়ে নয় বরং ন্যায়বিচার এবং সমতার ভিত্তিতে সমাধান করা যেতে পারে। এ জাতীয় সমাধান সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের স্বার্থে কাজে লাগাবে। তুরস্ক কাশ্মীরের সমস্য সমাধানে ন্যায়বিচার, শান্তি ও সংলাপে সমর্থন দেবে।’
অতীতে পাকিস্তান তার দেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল স্মরণ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি জনগণ তাদের রুটি আমাদের সাথে ভাগ করেছিল। তাদের সহায়তা আমরা কখনও ভুলে যাইনি এবং ভুলে যাব না।’ তিনি বলেন, পাকিস্তান এখন শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পথে রয়েছে। তবে এই শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুব সহজে আসে না। এজন্য অনেক কাজ করতে হয়। আশা করি, পাকিস্তান শিগগিরই সন্ত্রাসবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণভাবে স্থিতিশীল হবে। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে আমরা পাকিস্তানকে সব ধরনের সহায়তা দেব।
সূত্র : ডন।