স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মৌমিতা সরকার ও প্রভাষক মো. জসিম উদ্দিন কর্তৃক পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হয়রানী ও দুঃব্যবহারসহ নানা ধরনের হুমকির প্রতিবাদে এবং শিক্ষকদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের টাউন ক্লাব সড়কে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে এবং পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সামনে গিয়ে শেষ।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বুধবার অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে সরকারি মহিলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের সময় পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক ঘন্টা আগেই অতিরিক্ত পরীক্ষার খাতা নেয়ার জন্য বলেন পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মৌমিতা সরকার। একঘন্টা আগে কেন খাতা নিতে হবে পরীক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রভাষক মৌমিতা সরকার সেই কক্ষে থাকা পরীক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং দুই জনের খাতা নিয়ে তাদের পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করা হবে বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে অন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধে এবং ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী কর্তৃক তাদের ভুল হয়েছে এমন মুছলেখা নিয়ে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। এছাড়া প্রভাষক মৌমিতা সরকার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার্থীদের সাথে দুঃব্যবহার করারও অভিযোগ করে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারদাবী করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক, শিক্ষার্থী সুমিত মজুমদার, কদের সিকদার ও হাফসা রহমান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক মৌমিতা সরকার জানান, তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই পরীক্ষা কেন্দ্রের সকল দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে থাকেন।
সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শেখ ফরিদ জানান, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ মিথ্যা।
এদিকে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রী দিপু মনির অফিসিয়াল ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠালে সে লেখা ফেসবুলে ভাইরাল হয়ে যায়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা তাদের হয়রানি বন্ধের দাবী জানিয়ে পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ বরাবরেও লিখিত আবেদন করেছেন।