জাতিসংঘ-সমর্থিত আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)-র প্রসিকিউটর অফিস বলেছে, তারা মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ‘গণহত্যায়’ জড়িত অপরাধীদের বিচার করতে ‘অপরাধের অভিযোগের’ তদন্ত শুরু করেছে।
আজ আইসিসি অফিস অফ প্রসিকিউটর (ওটিপি) এর পরিচালক ফাকিসো মোচোচোকো রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি (তদন্ত) ইতোমধ্যে চলছে। শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার করা হবে।’
তিনি বলেন, তাদের এই তদন্তে ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বাসভূমিতে সংঘটিত সহিংসতার সঙ্গে একজন সাধারণ সৈনিক থেকে শুরু করে জেনারেল বা অন্য যে কারো অপরাধী হিসেবে জড়িত থাকা প্রত্যেকের বিষয় উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওপিটি নামে পরিচিত আইসিসির প্রসিকিউটরের কার্যালয়টি ইউএন সমর্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) মিয়ানমারকে গণহত্যা রোধ করতে ‘তার ক্ষমতার মধ্যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ’ করার আদেশের বিশদ শুনানির রায় ঘোষণার দুই সপ্তাহ পরে এই ঘোষণা দিয়েছে।
আইসিআইজে প্যানেলের ১৭ সদস্যের সব বিচারকই সর্বসম্মতিক্রমে পর্যবেক্ষণ করেছেন রোহিঙ্গাদের ওপর এখনও গণহত্যার ‘মারাত্মক ঝুঁকি’র রয়েছে।
আইসিজে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইস্যু মীমাংসা বাধ্যতামূলক। আইসিসিকে আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য ব্যক্তিদের বিচার করার এবং তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজা দেওয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়।
আজ মিডিয়া ব্রিফিংএর সময় আইসিসির প্রসিকিউটর অফিসার পরিচালক, ইঙ্গিত দিয়েছেন তদন্ত প্রক্রিয়াটি ‘দীর্ঘ, কঠোর এবং চ্যালেঞ্জিং’ এবং ‘এটি এক বছর, দুই বছর, তিন বছর বা আরও সময় নিতে পারে।