স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট যে শিক্ষা তা হলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সফলতার সহায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হল গ্রন্থাগার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হৃৎপিন্ড বলা হয়।’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গ্রন্থাগার অধিদফতরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২০’ উপলক্ষে র্যালি শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গ্রন্থাগারে যতো বেশি বই পড়বে ততবেশি ভাল মানুষ তৈরি হবে, আলোকিত মানুষ তৈরি হবে। আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে গ্রন্থাগার বাতিঘর হিসেবে কাজ করে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে যে স্বীকৃতি পেয়েছে সেটি একটি নেতৃত্বের কারণে। সেই নেতৃত্বের গুণাবলি শুধু রাজনীতিতে নয়। নেতৃত্বে গুণাবলি শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নাটক, খেলাধুলা ইত্যাদি ক্ষেত্র থেকে আসে। এই নেতৃত্ব যদি জ্ঞান সমৃদ্ধ না হয়, দূরদর্শীতা, সততা এবং দেশপ্রেম না থাকে, যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা না থাকে তবে তা কোনো কাজে আসবে না। তাই জ্ঞান অর্জনের মধ্যদিয়ে সত্যিকারের মানুষ হতে হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘গ্রন্থাগার হলো সমাজ উন্নয়নের বাহন। একটি জাতির মেধা, মনন, ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারণ ও লালন-পালনকারী হিসেবে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বসাধারণের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রয়েছে। তাই গ্রন্থাগারকে বলা হয় জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়।’
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও গ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আ. মান্নান ইলিয়াস এর সভাপতিত্বে সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা উপস্থিত ছিলেন।