1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. ittehadnews24@gmail.com : Ittehad News24 : ইত্তেহাদ নিউজ২৪
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
একজন প্রকৃত মু’মিন বান্দার জন্য আত্মশুদ্ধি অর্জন করা অতীব জরুরী। -ছারছীনার পীর ছাহেব আগামীকাল ঢাকার মহাখালিস্থ মসজিদে গাউসুল আজমে ছারছীনার পীর ছাহেব কেবলার মাহফিল মুখে সুন্নি বললে সুন্নী হওয়া যায়না, আমলের মাধ্যমে সুন্নী হতে হয় -ছারছীনার পীর ছাহেব জুলাই গণহত্যার বিচার না হলে সরকারের বিপ্লবী ভূমিকা ম্লান হবে : রিজভী গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন করা হবে : নাহিদ ইসলাম সংস্কার কমিশনের কাজ শুরু ১ অক্টোবর, প্রতিবেদন ডিসেম্বরে সত্যিকারের জনবান্ধব পুলিশ হোন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না : মির্জা ফখরুল অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন শিক্ষক যদি ভিন্ন ধর্মালম্বি হলেও তার সাথে ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ ও সম্মান করতে হবে। -ছারছীনার পীর ছাহেব।
শিরোনাম
একজন প্রকৃত মু’মিন বান্দার জন্য আত্মশুদ্ধি অর্জন করা অতীব জরুরী। -ছারছীনার পীর ছাহেব মুখে সুন্নি বললে সুন্নী হওয়া যায়না, আমলের মাধ্যমে সুন্নী হতে হয় -ছারছীনার পীর ছাহেব জুলাই গণহত্যার বিচার না হলে সরকারের বিপ্লবী ভূমিকা ম্লান হবে : রিজভী সংস্কার কমিশনের কাজ শুরু ১ অক্টোবর, প্রতিবেদন ডিসেম্বরে সত্যিকারের জনবান্ধব পুলিশ হোন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না : মির্জা ফখরুল অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন গার্মেন্টস কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানকে গ্রেফতার ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ বাংলাদেশের কো-স্পন্সর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) এরআনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আমল ছাড়া আলেম দ্বারা কখনও দ্বীন কায়েমের আশা করা যায় না -আখেরী মুনাজাতের পূর্বে ছারছীনার পীর ছাহেব।

  • আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে

ছারছীনা থেকে মোঃ আবদুর রহমানঃ
ছারছীনা শরীফের হযরত পীর ছাহেব কেবলা বলেন- আমরা মুসলমান। আমাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর ইবাদত বন্দেগী করতে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। তাঁর ইবাদত বন্দেগী করবো কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণ ও অনুকরনের মাধ্যমে। অনুসরণ করবো হক্কানী আলেমদের দেখে দেখে। কারণ হক্কানী আলেমগণ নবীদের ওয়ারিশ তথা উত্তরাধীকারী। শুধুমাত্র লম্বা জামা পাগড়ী থাকলেই হক্কানী আলেম হয় না। কারণ আজকাল হক্কানী আলেম নামধারী বহু ধোকাবাজ বের হয়েছে। রাসূল (সা.) বিভিন্ন হাদীসে এদের সম্পর্কে তার উম্মাতকে সজাগ ও সতর্ক করেছেন- এক হাদীসে বলেছেন এদের মুখের ভাষা চিনির চেয়ে মিষ্টি কিন্তু কলবগুলো বাঘের মত হিংস্র। অপর হাদীসে রাসূলে পাক (সা.) এরশাদ করেছেন- আখেরী জামানায় এমন একদল আলেম বের হবে যারা পূর্ব জামানায় লোকদেরকে তথা ছাহাবায়ে কেরাম ছলফে ছালেহীন, মুজতাহেদে শরীয়ত ও তরীকতকে অভিশাপ করবে, তাদেরকে গালি দিবে। সেই যামানা আসছে। পূর্ববর্তী আলেমগণ, মাশায়েখে তরীকত আমাদেরকে হাদীসের আলোকে যে সমস্ত আমল করতে নির্দেশ করেছেন এখন একদল আলেম নামধারী ব্যক্তিবর্গ বলতেছে এগুলো সব জাল হাদীস। তাহলে আমাদের ছলফে ছালেহীন পীর মাশায়েখ কি মুর্খ ছিলেন? জাহেল ছিলেন?
আজকাল অনেক মানুষকে দেখা যায় যাদের লেবাছে পোষাকে মনে হয় ফেরেশতা অথচ তারা মানুষকে বলছে রাসূল (সা.) হায়াতুন্নবী নয় মুর্দা নবী। অথচ রসূল (সঃ) হায়াতুন্নবী। আবার কিছু কিছু লোক বলতেছে রাসূল (সা.) গুনাহ করতে পারে। রাসূল (সা.) কে মুর্দা নবী জেনে নামাজ, রোজা সহ ইবাদত বন্দেগী করলে সেই নামাজ রোজা কি কবুল হবে? সুতরাং সকলকে সাবধান হতে হবে। সজাগ থাকতে হবে। অন্ধ বিশ্বাসী হওয়া যাবে না।
পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেন- আমাদের জীবনে চলার পথে হক্কানী আলেমের কোন বিকল্প নেই। আর যদি হক্কানী আলেম থাকে তাহলে দ্বীন থাকবে, আর যদি হক্কানী আলেম না থাকে তাহলে দ্বীন থাকবে না। বে আমলী আলেম দ্বারা কখনও দ্বীন কায়েমের আশা করা যায় না। কারণ তার মধ্যেই তো দীনের অভাব, তাকে অনুসরণ করলে কিভাবে দ্বীন কায়েম হবে।
পীর ছাহেব কেবলা মাহফিলে আগত মুরীদানদের উদ্দেশ্য করে বলেন- মুরীদ হতে হবে আমলী মুরীদ। দাদা হুজুর কেবলা হযরত মাওলানা শাহ সূফী নেছারুদ্দীন আহমদ (রহ.) ফুরফুরা হুজুরের দরবারে গিয়ে তরীকা মশক করতেন। এক পর্যায় দাদা হুজুর কেবলার তরীকায় উন্নতি ও কামালিয়াত দেখে ফুরফুরার হুজুর বললেন, বাবা যাও, বাংলার মানুষকে হেদায়েতের পথে আহ্বান কর। ফুরফুরা শরীফের হুজুরের নির্দেশে দাদা হুজুর কেবলা এদেশের মানুষকে দীনের দাওয়াত দেওয়া শুরু করলেন। বাংলাদেশের মানুষের তৎকালীন কৃষ্টি কালচার এমন ছিল যে, হিন্দুরা ধুতি পরতো মুসলমানেরাও ধুতি পরতো। হিন্দুদের অনুসরণে স্বরস্বতী পূজায় শরীক হতো। মাথায় টিকি পরিধান করতো, হিন্দুরা দাড়ী কামাতো মুসলমানেরাও দাড়ী কামাতো। হিন্দুরা নামের আগে ব্যবহার করতে শ্রী, মুসলমানেরা নামের আগে ব্যবহার করতো শ্রী। সেই সময় দাদা হুজুর কেবলা দুর্বার আন্দোলন শুরু করলেন এবং বললেন, হে মুসলমানগণ তোমরা ধুতি পরিবর্তে লুঙ্গি পর। টিকির পরিবর্তে মাথায় টুপি দাও। স্বরস্বতি পূজায় না গিয়ে মসজিদে যাও। আর দাড়ী কামানোর পরিবর্তে দাড়ী রাখ। তিনি এর পাশাপাশি সমগ্র বাংলাব্যাপী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা শুরু করে দিলেন। আজ আমল বিদায়ের পথে বিধায় দ্বিন বাঁচাতে বাংলাদেশের সর্বত্র দিনীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও সন্তানদেরকে সেখানে পড়ানোর জন্য জোড় তা’কীদ প্রদান করেন।

পরিশেষে রাত ১২ টা থেকে শুরু হয় মাহফিলের সর্বশেষ অধিবেশন। কুরআন তেলাওয়াত, হামদ-না’ত, দরূদ শরীফ, ক্বাসীদা, মর্ছিয়া ও মিলাদ-ক্বিয়াম শেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা রাত ৪ টায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী মুনাজাতে হাজার হাজার মুসল্লিদের ক্রন্দনে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায় সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Categories